ক. প্রকৃত দাতা একমাত্র আল্লাহ।
ইসলাম অনুযায়ী—
“তাদের সবাইকেও আল্লাহই দেন”, তারা যাকেই ডাকুক না কেন।
কুরআন বলে:
“পৃথিবীতে যে নেয়ামতই আছে, সব আল্লাহর কাছ থেকেই।”
(সুরা নাহল ১৬:৫৩)
তাই অমুসলিম কারো কাছে প্রার্থনা করলেও,
দেওয়াটা আসলে আল্লাহই দিয়ে থাকেন, তাদের ডাক শোনেন না কোনো মিথ্যা দেবতা।
খ. এ দুনিয়া পরীক্ষা – এখানে আল্লাহ সবাইকে রিযিক দেন।
ইসলাম অনুযায়ী এই দুনিয়া পরীক্ষার জায়গা।
তাই ঈমানদার–কাফির—সকলকেই এখানে অনেক কিছু দেয়া হয়।
“যে দুনিয়ার জীবন চায়—আমরা তাকে দুনিয়ায় যা চাই দেব, তারপর আখ্যাতে তার অংশ থাকবে না।”
(সুরা হুদ ১১:১৫–১৬)
অর্থাৎ—
দুনিয়ার সাফল্য ঈমানের প্রমাণ নয়।
গ. কিছু সাফল্য হলো প্রাকৃতিক নিয়মের ফল
মানুষ যদি—
পরিশ্রম করে,পরিকল্পনা করে,নিয়ম মেনে চলে,ধৈর্য ধরে,তাহলে স্বভাবগতভাবেই ফল পায়।
এটা আল্লাহর স্থাপন করা “সুন্নাতুল্লাহ”—
নিয়ম যে কেউ মানলে ফল পাবে।
যেমন— মুসলিম হোক বা অমুসলিম— আগুনে হাত দিলে পুড়বে, পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় ভালো করবে।
---
২. তারা কি তাওয়াক্কুল জাতীয় কাজ করে উপকৃত হয়?
না — তারা “তাওয়াক্কুল” করছে না।
তাওয়াক্কুল মানে—
কারণ সৃষ্টি করা + ফল আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেয়া
এটা কেবল আল্লাহর ওপর ঈমান থাকা সাপেক্ষে বুঝায়।
অমুসলিমরা সাধারণত—
তাদের ধারণা অনুযায়ী নিজের দেবতার ওপর নির্ভর করে
মনোযোগ, সিদ্ধান্ত, পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ব্যবহার করে
এগুলো ইসলামিক “তাওয়াক্কুল” নয়।
এগুলো মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব + নিয়ম মানার ফল।