আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি একজন মেয়ে। আমার বয়স ২০। দীর্ঘ সময় ধরে আমার জন্য পাত্র খুঁজা হচ্ছে কিন্তু মন মতো পাত্র খুজে পাচ্ছিনা। অনেক প্রস্তাব আসে। বেশীরভাগই বিদেশী দ্বীনের বুঝ নাই এমন। মানে গায়রে মাহরাম মেনে পর্দার বিষয়টা বুঝতে চায় না।

তাই আমি না করে দিই। এইভাবে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে দিতে এখন আমার ফ্যামিলিও আমার উপর ক্ষেপে গেছে৷ এখন আর কেউ প্রস্তাব আনতে চায় না। আমার বাবা মা কে মানুষজন কথা শুনায়৷ বলে যে,,তুমাদের মেয়ে ত ছবিই দিতে চায় না,ছেলের বাপের সামনে যায় না। ছেলের ভাইয়ের সামনে যেতে চায় না। এই মেয়েকে বিয়ে দেয়া সম্ভব না। আরো অনেক কথা শুনায় পর্দা নিয়ে আর বিয়ে নিয়ে৷

আমার ফ্যামিলির লোকেরাও আমাকে নিয়ে টেনশনে পড়ে আছে । কিছু প্রস্তাবে আমার ফ্যামিলির লোকেরা আমাকে জুরজবরদস্তিও করেছে। ছেলে দ্বীন বুঝতো না তাই আমি রাজি হইনি। অনেক হাফেজ থেকেও প্রস্তাব আসছিলো। ছেলে নামে মাত্র হাফেজ ফেইসবুকে গান বাজনায় ভরপুর। তাই এ প্রস্তাবগুলোও ফিরিয়ে দিলাম। ফ্যামিলির লোকেরা বলে, হুজুররা না এত ভালো! তারা আবার গান বাজনা শুনে কেন!

আমি বললাম, সব হুজুর ত আর এক না।

এইরকম আরো অনেক হুজুরদের নিয়ে আমার ফ্যামিলি প্রমানসহ অনেক কিছু দেখায়ছে।

আমি বার বার ফ্যামিলিকে বলছি, আমি ত হুজুর চাইনা। শুধু দ্বীনদার, ভালো আখলাক আর আমার পর্দায় রাখবে এইরকম চায়।

তারা বলছে এটা অসম্ভব !

এমন পাত্র পাওয়া যাবে না৷

আমি অনেক দোয়া করে যাচ্ছি আমলও করছি আল্লাহ অবশ্যই কিছু ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু আমি আর ধৈর্য ধরে থাকতে পারছিনা। ফ্যামিলির মাথার বুঝা হয়ে যাচ্ছি।

এখন আমার প্রশ্ন হলো,,

১/হালালভাবে আমি কিভাবে পাত্র খুঁজতে পারি?  প্রস্তাব কেউ আর আনে না আমি  নন মাহরামদের ছবি দিই না সামনে যায় না এইজন্য৷

২/ এদিকে আমার বয়সও বাড়ছে, মানুষের কথা ত শুনছিই ইচ্ছেমতো । আমি কি আরো ধৈর্য ধরবো নাকি যেমন প্রস্তাব আসছে ফ্যামিলির কথায় রাজি হয়ে যাবো?

কিন্তু আমি যখন চিন্তা করি ,, এমন এক ছেলের সাথে বিয়ে হলো যে কি না পর্দা বুঝেনা সে তো আমায় বেপর্দায় নিয়ে যাবে বা রাখবে। এত কষ্ট করে পর্দা করলাম শেষমেষ এক বেদ্বীনকে বিয়ে করবো! এগুলো ভাবলে আমার প্রচুর কান্না আসে।


দয়া করে আমাকে উত্তম পরামর্শ দিন ?

1 Answer

0 votes
ago by (705,630 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
রাসুলুল্লাহ সাঃ উক্ত হাদীসে বলেছেনঃ
তোমরা ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দ্বীনদার পাত্রকে বিয়ে করার পরামর্শ থাকবে। 

এজন্য আপনি আপনার বাবা-মার মাধ্যমে ঘটকদের খবর দিতে পারেন, অনলাইনে নির্ভরযোগ্য সাইটগুলোতে বায়োডাটা দিতে পারেন।

এক্ষেত্রে পাত্রের খোঁজ পেলে যদি পাত্র কিছুটা দ্বীনদার হয়,পূর্ণ দ্বীনিদার না হয়, সেক্ষেত্রে আপনি কিছুটা ছাড় দিয়ে হলেও যদি সে আপনার দ্বীন পালনে এবং পূর্ণ পর্দার পরিবেশ করে দিতে শতভাগ নিশ্চয়তা দেয়,সেক্ষেত্রে তার সাথে আপনি বিবাহ বসতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...