আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
11 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) নিজের জমি অন্যকে চাষের জন্য দিয়ে সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নেয়া কি জায়েজ? শর্তটা এমন যে, সে আমার জমিতে চাষ করবে। ফসল বিক্রি করে যত টাকাই আসুক না কেন, ২৫০০০ টাকা (বা অন্য কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা) আমাকে দিতে হবে। ফসল বিক্রি করে ৩০০০০ টাকাই আসুক, বা ৪০০০০ (বা অন্য কোনো অ্যামাউন্ট), সেখান থেকে ২৫০০০ আমাকে দিতেই হবে।
২) যদি শর্ত এমন হয় যে, ফসল বিক্রির টাকার ৫০ শতাংশ (বা অন্য যেকোনো শতাংশ) পরিমাণ টাকা আমাকে দিতে হবে, তাহলে এটা জায়েজ কিনা?

1 Answer

0 votes
ago by (704,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
   
باب الْمُزَارَعَةِ بِالشَّطْرِ وَنَحْوِهِ 
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَامَلَ خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ ثَمَرٍ أَوْ زَرْعٍ، فَكَانَ يُعْطِي أَزْوَاجَهُ مِائَةَ وَسْقٍ ثَمَانُونَ وَسْقَ تَمْرٍ وَعِشْرُونَ وَسْقَ شَعِيرٍ، فَقَسَمَ عُمَرُ خَيْبَرَ، فَخَيَّرَ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُقْطِعَ لَهُنَّ مِنَ الْمَاءِ وَالأَرْضِ، أَوْ يُمْضِيَ لَهُنَّ، فَمِنْهُنَّ مَنِ اخْتَارَ الأَرْضَ وَمِنْهُنَّ مَنِ اخْتَارَ الْوَسْقَ، وَكَانَتْ عَائِشَةُ اخْتَارَتِ الأَرْضَ.

অর্ধেক বা এর কাছাকাছি পরিমান ফসলের শর্তে ভাগে চাষাবাদ করা।

 ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারবাসীদেরকে উৎপাদিত ফল বা ফসলের অর্ধেক ভাগের শর্তে জমি বর্গা দিয়েছিলেন। তিনি নিজের সহধর্মিণীদেরকে একশ’ ওসক দিতেন, এর মধ্যে ৮০ ওসক খুরমা ও ২০ ওসক যব। উমর (রাঃ) (তাঁর খিলাফতকালে খায়বারের) জমি বণ্টন করেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীদের ইখতিয়ার দিলেন যে, তাঁরা জমি ও পানি নিবেন, না কি তাদের জন্য ওটাই চালু থাকবে, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যামানায় ছিলো। তখন তাদের কেউ জমি নিলেন আর কেউ ওসক নিতে রাযী হলেন, আয়িশা (রাঃ) জমিই নিয়েছিলেন।

(বুখারী ২১৭৭)

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ عَامَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خَيْبَرَ بِشَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ ثَمَرٍ أَوْ زَرْعٍ.

মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎপাদিত ফল কিংবা ফসলের অর্ধেক শর্তে খায়বারের জমি বর্গা দিয়েছিলেন।
(বুখারী ২১৭৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
জমিন ভাড়া দেওয়া জায়েয। চায় নির্দিষ্ট নগদ টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেয়া হোক বা নির্দিষ্ট পরিমাণের তরি তরকারি কিংবা উৎপাদিত ফসলের হিস্যার পরিবর্তে  হোক, সবই জায়েয।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি তার সাথে জমি ভাড়ার চুক্তি করবেন।

তাহলে কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
কোনো জমি তাতে উৎপাদিত ফসলের একাংশ ভাড়া হিসেবে প্রদানের শর্তে ভাড়া দেওয়া নাজায়েয। এমন শর্ত করলে ভাড়াচুক্তি ফাসেদ হয়ে যাবে। তবে নির্ধারিত জমির ফসল দেওয়ার শর্ত না করে ভাড়া হিসেবে ধান ইত্যাদি প্রদানের চুক্তি করা জায়েয। সেক্ষেত্রে ফসলের পরিমাণ, জাত ও গুণগত মান পূর্বেই ঠিক করে নিতে হবে। আর ঐভাবে চুক্তি করার পর উক্ত জমির ফসল শর্তানুযায়ী হলে তা দিয়েও ভাড়া প্রদান করা যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত চুক্তি করা যাবেনা।
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আকারে ফসল (যেমন ৫ মন ধান) বা টাকার চুক্তি করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (9 points)
edited ago by
২ নম্বর প্রশ্নের ব্যাপারে আরেকটু ক্লিয়ার হতে চাচ্ছিলাম।
উত্তরে বলা হয়েছে যে, উৎপাদিত ফসলের একাংশ ভাড়া হিসেবে নেয়া যাবে না। কিন্তু প্রশ্নে ফসল ভাড়া হিসেবে নেয়ার কথা বলা হয়নি, বরং উৎপাদিত ফসল বিক্রির টাকার একাংশ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এই সুরতেও কি নাজায়েজ হবে?

১ নম্বর প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে - জমিন ভাড়া দেওয়া জায়েয। চায় নির্দিষ্ট নগদ টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেয়া হোক বা নির্দিষ্ট পরিমাণের তরি তরকারি কিংবা উৎপাদিত ফসলের হিস্যার পরিবর্তে হোক, সবই জায়েয।

এই হিসেবে ২ নম্বর সুরত অর্থাৎ, উৎপাদিত ফসল বিক্রির টাকার একাংশ নেয়াও তো জায়েজ হওয়ার কথা। আবার ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে উৎপাদিত ফসলের হিস্যার বিনিময়ে ভাড়া দেয়া জায়েজ বলা হয়েছে। কিন্তু ২ নম্বর প্রশ্নে উৎপাদিত ফসলের একাংশের পরিবর্তে ভাড়া দেয়া নাজায়েজ বলা হয়েছে। এখানে কি শতাংশ হিসেবে ভাড়া দেয়া নাজায়েজ বলা হচ্ছে? সেক্ষেত্রে ১ নম্বর প্রশ্নের দলিল হিসেবে উত্তরের শেষদিকে উৎপাদিত ফল বা ফসলের অর্ধেক তথা ৫০ শতাংশ ফেয়ার শর্তে জমি বর্গা দেয়ার কথা বলা আছে। এই হিসাবে ২ নম্বর সুরতেও তো ভাড়া দেয়া একই কথা হওয়ার কথা।
এই ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলবেন। জাযাকাল্লাহ খায়রান

২ নম্বর প্রশ্নটা আরো ক্লিয়ার করলে এরকম হবে - যাকে ভাড়া দিচ্ছি তাকে এই শর্তে ভাড়া দিচ্ছি যে, উতপাদিত ফসল বিক্রির টাকার ৫০ শতাংশ সে আমাকে দেবে। এই সুরতে কি নাজায়েজ হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...