জবাবঃ
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ভালো নাম রাখা পিতা-মাতার সর্বপ্রথম দায়িত্ব। আমরা এভাবেও বলতে পারি যে, পিতা-মাতার উপর সন্তানের সর্বপ্রথম হক হচ্ছে, তার জন্য সুন্দর নাম নির্বাচন করা।
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ও আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
من حق الولد على الوالد أن يحسن اسمه ويحسن أدبه.
অর্থ : সন্তানের সুন্দর নাম রাখা ও তার উত্তম তারবিয়াতের ব্যবস্থা করা বাবার উপর সন্তানের হক। -মুসনাদে বাযযার (আলবাহরুয যাখখার), হাদীস ৮৫৪০
হযরত আবুদ দারদা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
إِنّكُمْ تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ، وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ، فَأَحْسِنُوا أَسْمَاءَكُمْ.
কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে ডাকা হবে তোমাদের ও তোমাদের বাবার নাম নিয়ে (অর্থাৎ এভাবে ডাকা হবে- অমুকের ছেলে অমুক)। তাই তোমরা নিজেদের জন্য সুন্দর নাম রাখ। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৯৪৮
,
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
হুরাইন (আরবি: حور عين থেকে ধরা হলে) নামটি একটি ইসলামী-আরবি শব্দ, যার অর্থ—
অর্থঃ-
স্বর্গের সুন্দরী
পবিত্র, অত্যন্ত সুন্দর চোখ-ওয়ালা নারীরা
উজ্জ্বল চোখের পরী
স্বর্গের নূরানি সঙ্গিনী
“হুর” মানে অত্যন্ত সুন্দর, বিশুদ্ধ;
“আয়ুন/আইন” মানে চোখ।
এ দু’টি মিলে “হুরাইন”—অর্থ হয় অত্যন্ত সুন্দর ও পবিত্র চোখ-ওয়ালা নারী, যা কুরআনে জান্নাতের নৈশ্বর্য বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
নাম হিসেবে অর্থ
সুন্দরী
পবিত্র/নির্মল
উজ্জ্বল/নূরানী
স্বর্গীয় সৌন্দর্যমণ্ডিত।
★ এ নাম রাখা যাবে।
(০২)
শুধুমাত্র ''নুর'' এ নাম রাখা যাবে।
(০৩)
ছোট বিড়াল ছানাকে আরবীতে ‘হুরায়রাহ’ বলা হয়। এক সাহাবী বিড়াল ছানা পুষতেন তাই রাসূল সা. তাকে মজা করে ‘আবু হুরায়রা’ (বিড়ালের পিতা) বলে নামকরণ করেছিলেন। ফলে তিনি এই নামেই প্রসিদ্ধ হয়ে যান।
সুতরাং শুধু হুরায়রা বলে পুরুষ বা মহিলাকে নামকরণ করা যাবে না।
তবে ঐ সাহাবীর নামের সাথে মিল রেখে কোনো ছেলে বাচ্চাকে আবু হুরায়রা বলে নামকরণ করা যেতে পারে।
(০৪)
এটি আবশ্যক নয়।
যেকোনো জায়গার মাটির নিচে পুতে ফেললেই হলো।
(০৫)
এ সংক্রান্ত বিধান জানুনঃ-