আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
10 views
in পবিত্রতা (Purity) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।

এ মাসে আমার হায়েজের সম্ভাব্য ডেট ছিলো ২০ তারিখ। তো আমি এর তিন চারদিন আগ থেকেই দেখছিলাম হালকা হলুদ স্রাব,মানে হায়েজ হওয়ার লক্ষণ যেটা। এরপর ২২ তারিখ রাতে সামান্য একটু বাদামী স্রাব দেখে হায়েজ ধরি। কিন্তু এরপর ৩ দিন পর্যন্ত আবার পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগের মতো হালকা হলুদ স্রাব আসে,অন্য কোনো কালার নেই। ২৫ তারিখ রাতে অনেক দ্বিধাদ্বন্দের পর গাঢ় হলুদ স্রাব আসে একটু। যেহেতু বরাবর ৩দিন পরেই এই গাঢ় হলুদ স্রাব এসেছে,তখন এটা কি হায়েজ ধরবো নাকি ইস্তেহাযা তা নিয়ে আমি কনফিউশানে পড়ে গিয়েছি যেহেতু ৩ দিন পর্যন্ত অন্য কোনো স্রাব আসেনি,হালকা হলুদ স্রাব এসেছে। আর ৩ দিন পর্যন্ত হায়েজ না হলে তো ইস্তেহাযা ধরা হয়।

পরেরদিন থেকে বাদামী রঙের স্রাব আসে একটু একটু করে আর গতকালকে পুরোপুরি হায়েজ শুরু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,আমি কি হায়েজ ২২ তারিখ থেকে ধরবো নাকি ২৫ তারিখ থেকে যেহেতু মাঝে ৩দিন অন্য স্রাব আসেনি,হালকা হলুদ স্রাব এসেছে যেমনটা হায়েজ শুরু হওয়ার আগে এসেছিলো? ২২ তারিখের হিসেব করলে আজ থেকে আমার নামাজ শুরু করে দিতে হবে অথচ এখন আমার পুরোদমে হায়েজ চলছে,এমতবস্থায় নামাজ পড়াও কষ্টকর। ২৫ তারিখ থেকে ধরলে হিসেব ঠিক আছে। একটু দ্রুত জানালে মুনাসিব হয়।

1 Answer

0 votes
by (704,100 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি ২২ তারিখ রাতে সামান্য একটু বাদামী স্রাব দেখেছিলেন,এক্ষেত্রে ২২ তারিখ রাত হতে আপনি হায়েজ গন্য করবেন।

এক্ষেত্রে মাঝে যে ৩ দিন বন্ধ ছিলো,সেই দিনগুলিও হায়েজের অন্তর্ভুক্ত হবে। 

এমতাবস্থায় ২ ই ডিসেম্বর রাতে এসে আপনার হায়েজের ১০ দিন পূর্ণ হবে।

এক্ষেত্রে যদি তার আগেই ব্লিডিং বন্ধ হয়,সেক্ষেত্রে যে কয়দিন ব্লিডিং চললো,সে কয়দিন হায়েজ ধরবেন। 

আর যদি ৩ ই ডিসেম্বরেও ব্লিডিং অব্যাহত থাকে,সেক্ষেত্রে পূর্বের মাস গুলোর আপনার হায়েজের অভ্যাস অনুপাতে এই মাসেও সে কয়দিন হায়েজ ধরবেন। 

এক্ষেত্রে আপনার হায়েজের হিসাব শুরু হবে ২২ তারিখ রাত হতে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...