আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in পবিত্রতা (Purity) by (27 points)
আমি যখম প্রসাব করছিলাম তখন আমার হতে একটু পোডা দিচিলো। এটা  প্রসাব চিটা গায়ে আসলে যেমন অনুভুতি হয় তেমন লাগে।  এটা মাঝে মাঝে হয় এমন।তো আমি এমন অনুভূতি হলে চেক করি আসলে প্রসাবের চিটা লাগলো কিনা। প্রায় সময় দেখা যায় কিছু নাই। তো আসল কথায় আসি আজ যখন এমন অনুভূতি হলো হাতে  প্রসাব এর সময়। আমি হাত চেক করলাম যে হাতের চামডায় চিটা আসলো কিনা।  আমি মোবাইল এর লাইট দিয়ে প্রথমে দেখলাম কিছু নাই। পরে আরো ভালো করে দেখলাম তাও কিছু নাই মনে হলো। তবে এক যায়গায় সুইয়ের আগা পরিমান কিছু দেখা যাচ্ছে মনে হলো। তবে ঐটা চিটা এরকম মনে হচ্ছিল না।  আবার মনেও হচ্ছিল। মানে আমি সিউর হতে পারছিনা।  কারন আমার হাতের চামডায় লাইট দিয়ে এরকম চেক করলে বালুর কনা যেমন চক চক করে হালকা এরকম চকচক করে। এটা সবারই করে আসলে। মোট কথা আমি সিউর না ঐটা আসলে চিটা কিনা।  তো আংগুল দিয়ে ঐ যায়গায় হাত দিলে পরে দেখি এটা চিটার মত চিহ্ন নাই।
১ /প্রশ্ন হলো আমি আসলে সিউর না ঐটা সুইয়ের আগা পরিমান চিটা  আসলেই ছিলো কি না? তাই আমি পাক নাপাক কিছু বুঝতে চিনা।
২/ আমি এই সন্দেহ নিয়েই এশা ও ফজর নামাজ পড়ে পেলছি।কারন আমি তো জানিনা আধৌ এটা সুইয়ের আগা করি মান চিটা চিল কিনা।। এবং এর পরে পানির টেপ অনেক কিছুতে হাত দিয়েছি সব কি ধৌত করা লাগবে।
২/  সুইয়ের আগা পরিমান চিটা যাদি মোবাইল এ লাগে কোন সময়। মোবাইল কি ধৌত করা লাগবে। নাকি পাক থাকবে। পকেটে নিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে।
৩/ এটা আমার জানা দরকার সেটা হলো আজকের মত এরকম যদি কখনো মনে হয় আমার শরীর বা কাপড়ে নাপাক লাগছে কিনা। ৫০%৫০% বা সন্দেহে থাকি। ঐসময় আমি কিকরবো। বা যদি মনে হয় লাগছে হয়তো কিন্তুু সন্দেহে আছি। ঐ সময় আমি কোন দিকে থাকব।

1 Answer

0 votes
by (731,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম প্রমাণিত হয়না। যেমন ইতিপূর্বে একটি মূলনীতি আমরা উল্লেখ করেছি যে, আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ,লিখেন,
اﻟْﻘَﺎﻋِﺪَﺓُ اﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔُ: اﻟْﻴَﻘِﻴﻦُ ﻻَ ﻳَﺰُﻭﻝُ ﺑِﺎﻟﺸَّﻚِّ - ﻭَﺩَﻟِﻴﻠُﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻣَﺮْﻓُﻮﻋًﺎ {ﺇﺫَا ﻭَﺟَﺪَ ﺃَﺣَﺪُﻛُﻢْ ﻓِﻲ ﺑَﻄْﻨِﻪِ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻓَﺄَﺷْﻜَﻞَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺧَﺮَﺝَ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْءٌ ﺃَﻡْ ﻻَ ﻓَﻼَ ﻳَﺨْﺮُﺟَﻦَّ ﻣِﻦْ اﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﺴْﻤَﻊَ ﺻَﻮْﺗًﺎ، ﺃَﻭْ ﻳَﺠِﺪَ ﺭِﻳﺤًﺎ} 
ভাবার্থঃতৃতীয় উসূল,ঈয়াক্বিন(দৃঢ় বিশ্বাস)সন্দের দ্বারা খতম হয় না।[তথা কারো কোনো বিষয় সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস থাকলে, সে বিষয় সম্পর্কে বিপরিত কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পূর্ব বিশ্বাসের কোনো ক্ষতি হবে না।অর্থাৎ নতুন করে জন্ম নেয়া সন্দেহ অগ্রহণযোগ্য ]
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/293

البول المنتضح قدر رؤس الإبر معفو للضرورة وإن امتلأ الثوب كذا فى التبيين الخ، هذا إذا كان الانتضاح على الثياب والأبدان، أما إذا انتضح فى الماء فإنه ينجسه ولا يعفى عنه (الفتاوى الهندية-1/46) 
সূইয়ের আগা পরিমাণ প্রস্রাব জরুরতের দরুণ মাফ যদি এদ্বারা কাপড় ভড়ে যাকনা কেন? এই বিধান তখন যখন প্রস্রাব কাপড়ে বা শরীরে লাগবে।তবে যদি ঐ পরিমাণ প্রস্রাব পানিতে পড়ে,তাহলে পানি নাপাক হয়ে যাবে।এটাকে ক্ষমাযোগ্য মনে করা হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4271

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রথম কথা হল ইয়াকিন বিশ্বাস ব্যতিত কোনো হুকুম বাস্তবায়িত হয় না। যেহেতু প্রস্রাবের ফোটা শরীরে বা কাপড়ে লেগেছে কি না? সে সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত নন, দ্বিতীয়ত সুইয়ের আগা পরিমাণ প্রস্রাবের ফোটা শরীর বা কাপড়ে লাগলে তা ক্ষমাযোগ্য তাই প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার কাপড় বা শরীর নাপাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...