আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
13 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
edited by
১.প্রথম দিকে যদি ইস্তেহাজা অনবরত  আসে এবং শেষের দিনগুলোতে যদি থেমে থেমে আসে তাহলে ওযু এবং নামায আদায়ের বিধান কি?

২.আমি জানি হানাফি মাজহাবে দুই হায়েজের মধ্যবরতী সময় ১৫ দিন কিন্তু ইউটিউবে  অনেক এখতেলাফি মাসালা দেখে শয়তানের ধোকায়া পড়ে অথবা নফসের ধোকায় পড়ে জোহরের ওয়াক্তে নামাজ কাজা করে ফেলেছি এবং আসরের নামায পড়তে পড়তে নিষিদ্ধ সময় এসে গেছে এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি এগুলো কি কাজা আদায় করবো।

৩.আমার জীবনটা অনেক কঠিন ওযু ধরে রাখা আমার জন্য কঠিন আমার ওযু ভঙ্গের বিভিন্ন সমস্যা আছে খুব কষ্ট করে নামায আদায় করতে হয়।তাই ভেবেছিলাম যাতে আমার জীবন সহজ হয় আমি সেটাই গ্রহণ করব। এখন আমার করনীয় কি?প্রথম প্রথম আমি নামাযের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস ছিলাম যাই হয়ে যাক নামায আমাকে পড়তেই হবে এমন একটা মনোভাব ছিলো।কিন্তু ধীরে ধীরে এভাবে কষ্ট করতে করতে কেমন যেন গুরুত্ব কমে আসতেছে।।  মাঝে মাঝে আল্লাহর ফায়সালার উপর অসন্তুষ্টি এসে যায়।এতে কি আমার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়? । রাগ করে উল্টা পাল্টা কথা বলে ফেলি যেগুলো বলা উচিত নয়। মাঝে মাঝে পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করি।মাঝে মাঝে ভাবি আমার আল্লাহ বুঝবে তাই বার বার ওযু ভাঙ্গতে থাকলে ওযু ছাড়াই নামাজ পড়ে ফেলি।  মাঝে  মাঝে মনে হয় এত এখতেলাফ বাদ দিয়ে যাতে আমার জীবন সহজ হবে আমি তাই করব।এই বারও তাই ভেবেছিলাম।আমাকে একটু নসিহত করুন।

৪.ইস্তেহাজা চলতে চলতে যদি আগের হায়েজ থেকে ১৫ দিন অতিবাহিত হয় তাহলে কি হায়েজ ধরবো? আর ১৫ দিন ধরব নাকি ১৫ দিন ১৫ রাত।

৫ এশার ওয়াক্তে হায়েজ ভালো হওয়ার জন্য কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। শেষ রাতে উঠে নাকি দেখতে বারন এসেছে হাদিসে এটা কি সত্যি।
৬.আগের মাসে আমার হায়েজ শুরু হয় ২১ তারিখ আসরের ওয়াক্তের দিকে। তারপর ৩০ তারিখ রাতেও লালচে স্রাব দেখতে পাই  কিন্তু শেষ রাতে উঠে সাদাস্রাব দেখতে পাই এবং গোসল দিয়ে এশার সালাত আদায় করি এক্ষেত্রে  আমি ১৪ তারিখে আমার ১৫ দিন পূর্ণ হবে পবিত্রতার। আমার হিসেব কি ঠিক আছে?
৭.ইস্তেহাজা ভালো হয়ে গেলে কি ফরজ গোসল দিতে হবে?

৮.হায়েজের শেষ দিনগুলোতে আমি অস্থির হয়ে যাই কখন ভলো হয়ে যায় সেই ভেবে ঠিকমতো ঘুমতে পারি না  এক্ষেত্রে আমাকে নসিহত করুন যেন জীবনটা সহজ ভাবে নিতে পারি

৯.নামায পড়তে পড়তে মনের মধ্যে আল্লাহর ফয়সালায় অসন্তুষ্টি মূলক বাক্য উঠে আসলে কি নামায ছেড়ে দিয়ে কালিমা পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় নামায শুরু করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (731,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ. «الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক। যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) হায়েযের মাসাঈল সম্পর্কে আপনার জ্ঞানের পরিধি নিতান্তই কম মনে হচ্ছে। আশা রাখবো এ সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করে নিবেন। 
প্রথম দিকে যদি রক্তস্রাব অনবরত আসে এবং শেষের দিনগুলোতে যদি থেমে থেমে আসে, তাহলেও তা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।
(২) প্রশ্নটি অস্পষ্ট। 
(৩) আপনি যে কোনো একজন আলেম/মুফতি সাহেবকে জিজ্ঞাসা করবেন। সর্বক্ষেত্রে উনার পরামর্শ মুতাবেক জীবন পরিচালনার চেষ্টা করবেন।আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...