আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
10 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ
১) মা বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করা লোক যদি মা বাবার কাছে মাফ চায় আর উনারাও যদি মাফ করে দেয় তাহলে লোকটার করা সব খারাপ ব্যবহারের গুনাহ কি মাফ হয়ে যাবে??
২) বাড়িতে যিনি কাজ করেন তার কাজকর্ম নিয়ে আড়ালে বাড়ির লোকদের সাথে কথা বললে কি গিবতের মধ্যে পরবে?? যেমন উনার কাজে ফাঁকি দেওয়া, তার ব্যবহার এগুলো নিয়ে বাড়ির লোকদের সাথে কথা বললে গীবতের মধ্যে পরবে?
৩) আমি ওয়াসওয়াসা রোগী কি না একবার দয়া করে জানাবেন উস্তাদ। আমার উত্তর জানা খুব দরকার।
ইমান নিয়ে সারাক্ষণ ভয়ে থাকি। এই বুঝি কিছু বলে ফেললাম যার কারণে ইমানে সমস্যা হতে পারে।  মনের মধ্যে যে বাজে চিন্তা গুলো চলে আসে সেটা নিয়ে  সন্দেহে পরে যাই এটা মনে মনে চিন্তা আসছে নাকি মুখে বলে ফেলেছি এমতাবস্থায় সে কি ওয়াসওয়াসা রোগী দের মধ্যে পরবে?? এমনভাবে চিন্তা গুলো আসে পরপরই বুঝতে পারি না এগুলো শুধু মনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল নাকি মুখে বলে ফেলেছি। একা থাকতে ভয়ভীতি কাজ করে মনে চায় যে সর্বক্ষণ কেউ সাথে থাকুক নয়তো উল্টো পাল্টা চিন্তা বেশি চলে আসে। এগুলো নিয়ে খুবই টেনশনে থাকি।একাা ভাত  গেলে ভয় হয়,ওয়াশরুমে গেলেও ভয় পাই।   ঠোট একদম বন্ধ করে রাখি নয়তো ঠোঁট একটু খোলা থাকলে চিন্তা আরও বেড়ে যায় যখন খারাপ চিন্তা চলে আসে । চেষ্টা করছি এগুলো চিন্তা যেন না আসে কিন্তু পারছি না। একটার পর একটা চিন্তা ঘুরতে থাকে আর কিছুক্ষণ পর বা চিন্তা করার পরপরই সন্দেহ হয় এগুলো মুখে বলেছি নাকি মনে মনে  । কিছু মানুষ তো থাকে নিজেই নিজের সাথে কথা বলে আমিও আগে এমন করতাম তাই ভয় লাগে বাজে চিন্তা মুখে বলেছি নাকি মনে মনে।  একা থাকলে কান্না আসে এতোটা অসহায় লাগে নিজেকে তা বুঝাতে পারবো না। ইস্তেগফার, দরুদ পরতে থাকি তবুও চিন্তা আর যায় না একটা শেষ হলে আরেকটা নিয়ে চিন্তা হয়। আমার জন্য শরীয়তের হুকুম কি? আমি স্বাভাবিক থাকতে পারছি না, দোয়া,দুরুদ পড়ার জন্য মুখ খুলতেও কেমন যেন লাগে। কিছু চিন্তা করলে ওটা যদি পরে মনে না থাকে কি নিয়ে চিন্তা করেছি তখন টেনশনে পরে যাই ঈমান নিয়ে। ঈমান নিয়ে সবসময় ভয় লাগে।নামাজ পরতে গেলে গালিগালাজ চলে আসে।আমি আগে রেগে গেলে একটা বাজে শব্দ উচ্চারণ করতাম কিন্তু এখন আমি এগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। আমি এসব মনেও আনতে চাই না কিন্তু সারাদিন উঠতে বসতে এরকম ইসলামিক বিষয় এ গালিগালাজ চলে আসে। আমি মুক্তি চাই কিন্তু এগুলো কিভাবে চলে আসে আমি পাগল হয়ে যাবো মনে হচ্ছে। নিজেকে বড় গুনাহগার মনে হয়, একা থাকলে মুখ একদম অফ করে বসে থাকি কতক্ষণ আর এভাবে থাকা যায়!!  খুব কষ্ট হয় শুধু মনে হয় এ বুঝি কিছু খারাপ কথা বের হয়ে যাবে মুখ থেকে।  আমি কি ওয়াসওয়াসা রোগী?? আমার জন্য কি কোনো ছাড় আছে শরীয়তে? একটু দয়া করে জানাবেন ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (731,310 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ উস্তাদ 

একবার তো বলেন আমি ওয়াসওয়াসা রোগী কি না?  ওয়াসওয়াসা রোগী দের ঈমানের ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?  একবার উত্তর দিন দয়া করে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...