আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি ঢাকায় একটি সরকারি চাকুরীর সদর অফিসে কাজ করি। এখানে আমার অফিসে বা আমার মাধ্যম হয়ে অবৈধ লেনদেন একদম নেই বা কম বললেই চলে। এখন পারিবারিক কারণে আমার ঢাকা হতে নিজ জেলার দিকে যাওয়া প্রয়োজন এবং বর্তমানে যাওয়ার খুব ভালো সুযোগ রয়েছে বৈধভাবেই ইন শা আল্লাহ।  কিন্তু ওই জায়গায় গেলে আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে যদিও বা হারাম থেকে দূরে থাকি বা হারাম ঘুষ বা ইত্যাদি গ্রহণ না করি তাও দেখা যাবে অন্যরা এইসবে যুক্ত যাদেরকে আমি নিষেধ করতে পারছিনা। এছাড়াও সরকারি অফিসে অনেক এক্সট্রা খরচ থাকে, যেমন: বড় স্যারদের আপ্যায়ন, সাংবাদিকদের চাদা, রাজনৈতিক চাদা বা চাপ ইত্যাদি। এইসব অতিরিক্ত খরচ মেটানোর জন্য দেখা যাবে নিজে ঘুষ বা অবৈধ টাকা গ্রহণ না করলেও ওই টাকা থেকে এসব খরচ নিজেকে দিতে হবে।

এক্ষেত্রে কি করা যাবে?

আমি কি নিজে ঘুষ বা অবৈধ বা অতিরিক্ত টাকা একদমই গ্রহণ করবোনা এই নিয়তে এই ধরণের পরিবেশে যেতে পারি? নাকি হারাম হবে?

দ্রুত জানাবেন ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (731,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ঘুষ কবিরা গুনাহ সমূহের একটি।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗَﺎﻝَ : ﻟَﻌَﻦَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﻲ ﻭَﺍﻟْﻤُﺮْﺗَﺸِﻲ .
ঘুষ প্রদাণকারী ও গ্রহণকারী উভয়ের উপর রাসূলুল্লাহ সাঃ লা'নত দিয়েছেন।(মুসনাদে আহমদ-৬৭৯১সুনানে আবু-দাউদ-৩৫৮০)

ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয।অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম।তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/604

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
ঘুষ গ্রহণ করে সেই টাকা থেকে আবার ঘুষ দেওয়া কখনো জায়েয হবে না  প্রশ্নের বিবরণমতে আপনার জন্য সদর অফিসেই চাকুরী করা উত্তম মনে হচ্ছে। তবে জেলাশহরে আসলে ঘুষ কখনো গ্রহণ করতে পারবেন না। যদি অপারগতা বশত কখনো ঘুষ দিতেই হয়  তাহলে নিজ পকেট থেকে দিয়ে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...