আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম
ছেলে মেয়ে উভয়ই প্রাপ্ত বয়স্ক।
একদিন কিছু মেয়ে ফ্রেন্ডরা মজা করে একজন কে একটি ছেলের সাথে বিয়ে বিয়ে খেলে,মানে বিয়ে দেয় মজা করে, তখন আরেকটি মেয়ে বলে যে তাইলে আমার ও দে বিয়ে,যেহেতু এটা মজা বা নাটকীয় ব্যাপার হচ্ছে, তখন এই মেয়েদের মধ্য থেকেই একজন কাজি সেজে মেয়ের পক্ষ থেকে কয়েকজন মেয়ে সাক্ষী বানায়। আর ছেলের পক্ষ থেকে ছেলে সাক্ষী।কিন্তু অইখানে কারই অভিভাবক উপস্থিত ছিল না এবং মেয়ে নিজেও নিজের উপর অভিভাবকত্ব নেয় নি।কারন মেয়ে জানত যে এটা মজা আর সে বিশ্বাস করত অভিভাবকদের ছাড়া বিয়ে হয় না তাই মজা করেই দেনমোহর ধার্য করে কবুল পড়িয়ে বিয়ে দেয়া হয়।
 উভয় পক্ষেরই সাক্ষি ছিল এবং উভয় পক্ষের সাক্ষীর কথা উভয় পক্ষই শুনতে পায়।
পরবর্তীতে তাদের শারীরিক সম্পর্ক ও হয়।
পরে কেউ কেউ বলে যে মজা করে করলেও এই বিয়ে হয়ে গেছে।কারন আমাদের রাসূল বলেছেন ৩টি বিষয় মজা করে করলেও হয়ে যায় আবার সিরিয়াসলি করলেও হয়ে যায়, যেমন বিয়ে,তালাক,দাস মুক্তকরন। এটি ২০১৮ এর ঘটনা।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এখানে একটা সমস্যা আছে। অই ছেলে জানত যে অভিভাবক ছাড়াও বিয়ে হয় তাই সে সত্যি বিয়ের নিয়ত নিয়েই কবুল বলে। কিন্তু মেয়ে জানত রাসুল (স:) বলেছেন মেয়ের অভিভাবক ছাড়া বিয়ে বাতিল। আর ওই মেয়ে এটাই মানত এবং জানত। সেই মেয়ে কখনো হানাফি মাযহাব এর নাম ই শোনে নাই।   সে সব সময় কুরআন ও হাদিস ই বিশ্বাস করত। এর বাইরে সে কিন্তু জানত না। আর এই জন্যই সে মনে করেছিল যে এটা তো বিয়ে হচ্ছে না। তাই সে কবুল বলেছে। তাছাড়া সে কখনোই কবুল বলত না। কারন বাবা মা ছাড়া বিয়ে হয় এটা সে জানই না মানতোও না।
পরে ওই ছেলে তাকে বোঝায় যে অভিভাবক ছাড়াও বিয়ে হয়, অনেক রেফারেন্স দেয় সে কিছুদিনের জন্য মেনে নেয় বিয়ে টা কিন্তু তার মনে সন্দেহ ছিল। কারন সে রাসুল এর কথাই বিশ্বাস করত আর তখন ও সে হানাফী মাযহাব এর কথা জানতই না। এই জন্য ২ বছর পরে সে অই বিয়ে অস্বীকার করে আর বলে যে অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হয় না। ছেলে টি ও আর মেয়ের কথার বিরোধিতা করে না। তারপর থেকে তারা আর কখনো একসাথে থাকে নাই।
কিন্তু একদিন ২ জনের ঝগড়া লাগে আর যেহেতু অই মেয়ের মনে সন্দেহ ছিল যে অনেকেই বলেছে বিয়ে হয়েছে তাই তালাক নেওয়া টা নিরাপদ। কিন্তু ৩ তালাক হয়ে গেলে যে বউ হারাম হয় তা সে জানত না। ঝগড়া লাগার পর মেয়ে টি জোর করে ছেলে কে তালাক দিতে বলে আর ছেলেও না জেনে বুঝে ৩ তালাক দিয়ে দেয়, আর এই তালাকের ঘটনা ২০২১ এর।
এবং হানাফি মাযহাব এর কথা মেয়েটি জানতে পারে ২০২২ সালে। এর আগে সে যেহেতু জানত না তাই সে হাদিস ই মানত।
১) উক্ত বিয়ে কি সহীহ  হয়েছিল?
২) এখন তারা আবার পুনরায় অভিভাবক নিয়ে বিয়ে করতে চায়। এই বিয়ে কি সঠিক হবে? কারন মেয়ে তার অভিভাবক ছাড়া বিয়ে করতে চায় না।

1 Answer

0 votes
by (731,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। 
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ثَلَاثٌ جَدُّهُنَّ جَدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جَدُّ: النِّكَاحُ وَالطَّلَاقُ وَالرِّجْعَةُ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيب
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন বিষয়ে হাসি-ঠাট্টা ও (স্বজ্ঞানে) কথার উক্তি, উভয়ই সঠিক উক্তিরূপে পরিগণিত হবে। বিবাহ, তালাক ও রজ্’আহ্ (এক ত্বলাক (তালাক)ান্তে প্রত্যাহার)। (আবূ দাঊদ ২১৯৪, তিরমিযী ১১৮৪, ইবনু মাজাহ ২০৩৯, ইরওয়া ১৮২৬, সহীহ আল জামি‘ ৩০২৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে যদি সর্বনিম্ন একজন পুরুষ সাক্ষী ও দুইজন নারী সাক্ষী বা দুইজন পুরুষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে থাকে, তাহলে বিয়ে বিশুদ্ধ  হয়েছে। এবং পরবর্তীতে তালাকও কার্যকর হয়েছে। এখন তারা আবার পুনরায় অভিভাবক নিয়ে বিয়ে করতে চাইলেও আর বিয়ে করতে পারবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...