আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
আমাদের বাসায় শুধু আমি আর আমার ওয়াইফাই দ্বীনদার এবং দ্বীন প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করি। এখন আমরা একসাথে থাকতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। যদিও পরিবার এত বড় যৌথ পরিবার না। কিন্তু সমস্যাটা হয় মাকে নিয়ে। সে দ্বীন বুঝেনা। আবার সে স্বাভাবিকভাবে সে শিক্ষিতও না, বুঝবানও না। আমার ছোট ভাইও থাকে একসাথে তবে আলহামদুলিল্লাহ পর্দার তেমন সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু মা ই বুঝতেছে না। আমাদের বিষয়ে বেশি ইন্টারফেয়ার করে। রান্নাবান্না নিয়ে স্ত্রীকে কথা শোনায়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে কটু কথা বলে। এগুলোর কারনে আমার স্ত্রী মানসিক কষ্ট পায়। সে খুব কোমল এবং সে মুরব্বিদের সাথে তর্ক এগুলো একদমই পছন্দ করে না। এজন্য মা যা কিছুই বলি না কেন সে কিছুই বলে না। পরে সে আমার সাথে এক কান্না করে, খুব মানসিক কষ্টে থাকে। আমরা প্রায় তিন বছর কাছাকাছি একসাথে। কষ্ট পাওয়ার পরও আমার স্ত্রী এত বছর একসাথে ছিল এই ভেবে যে শাশুড়ি আম্মা একদিন বুঝবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে সমস্যা হচ্ছেই না। আদরের মাধ্যমে আমার আম্মা আমার স্ত্রী স্বাধীনতা কেড়ে নিতেছে। কোনো কিছুই অপচয় না। আমরা মানসিক প্রশান্তির জন্য ঘুরতে গেলে, প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনলে এগুলো নিয়েও মাইন্ড করে, রাগ করে, কষ্ট পায়। আমি আবারও বলছি অপচয় না। এত কিছুর পরও আমি মাকে সরাসরি কিছু বলি না কষ্ট পাবে এজন্য। এছাড়া আমাদের মেয়ে বাচ্চাকে তরবিয়তের ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। যেমন আমরা মোটামুটি অনেক কিছু বুঝি, বাচ্চার অনেক ক্ষেত্রে খুব সচেতন এবং খুব কেয়ারফুলি থাকি। খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, বাচ্চার সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে, দ্বীনি তরবিয়তে ইত্যাদি। এসব নিয়েও সমস্যা হয় মার সাথে। এখন আমার স্ত্রী তো নিজস্ব সংসার নেই, আমরা আছি মার সংসারে। আমার স্ত্রী স্বাধীন ভাবে অনেক কিছুই করতে পারে না। এজন্য সে দিন দিন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছে। মাঝে মধ্যে আমার কাছে এসে কান্না করে। এখন আমরা যদি আলাদা হয় মা কষ্ট পাবে। কিন্তু আসলে উনার কষ্ট পাওয়াটা অযথা। আমার ছোট ভাই আছে 16-17 বছরের। এছাড়াও আমি ভাবছি যদি আমি আলাদাও হয় আমার যেহেতু সামর্থ্য আছে আলহামদুলিল্লাহ, আমি মায়ের জন্য একজন কাজের মহিলা রেখে দিবো। সে আমার মায়ের কাজগুলো করে দিবে রান্নাবান্না, কাপড় ধুয়া ইত্যাদি। তাও যেন মা কষ্টে না থাকে। কিন্তু এক সাথে থাকতে গিয়ে আমাদের সবার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের ঈমান আমল, সাদামাটা জীবনে যাপনে সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চার তরবিয়তে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও অনেক গুনাহ হচ্ছে। যেমন: হিংসা, বিদ্বেষ, গীবত ইত্যাদি। এক সাথে থেকে সম্পর্কও তিক্ত হচ্ছে। এখন কি করণীয় বুঝতেছি না।

1 Answer

0 votes
by (731,310 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এককপরিবার ব্যবস্থা ও যৌথপরিবার ব্যবস্থা উভয়ই বৈধ।
আমাদের দেশে যেহেতু পূর্ব থেকেই  যৌথপরিবার ব্যবস্থা চলে আসছে, এবং এককপরিবার ব্যবস্থাকে মা-বাবা সহ অনেকেই মেনে নিতে পারেন না।এমনকি অনেকে এককপরিবার ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করে ও নিন্দা মনে করে,তাই যৌথপরিবারই আমাদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে মাননসই ও গ্রহণযোগ্য হবে,তবে যাতে শরীয়তের কোনো বিধি-বিধান লঙ্ঘন না হয় সেদিকে তীক্ষ্ণদৃষ্টি অত্যান্ত গুরুত্বতার সাথে রাখতে হবে, আল্লাহ না করুক যদি কোনো অঘটন ঘটে যায়,সেক্ষেত্রে সমস্ত দায়-দায়িত্ব কিন্তু আপনার-ই।যখন আমাদের সমাজ এককপরিবার ব্যবস্থাকে মেনে নিবে তখন সেটাই সবার জন্য মঙ্গলজনক ও নিরাপদ হবে।একক পরিবার না যৌথ পরিবার?কোনটা অগ্রহণযোগ্য?এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/430

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমরা আপনার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলবো,
আপনি শশুড় শাশুড়ীকে সাথে নিয়ে একই ছাদের নিচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। এতেকরে আপনার স্বামীর উপরের বোঝাটা হালকা থাকবে। কেননা আপনারা সবাই পৃথক পৃথক বাসায় থাকলে উভয় ঘরের দেখাশোনার দায়িত্ব কিন্তু আপনার স্বামীর।তাই স্বামীর বোঝাকে হালকা রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। যদি অপারগ হয়ে যান, দেয়ালে পিঠ আটকে যায়, তাহলে আপনি পৃথক বাসার আবেদন করতে পারবেন। তখন এটাই মুনাসিব হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...