আমাদের বাসায় শুধু আমি আর আমার ওয়াইফাই দ্বীনদার এবং দ্বীন প্র্যাকটিস করার চেষ্টা করি। এখন আমরা একসাথে থাকতে গিয়ে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। যদিও পরিবার এত বড় যৌথ পরিবার না। কিন্তু সমস্যাটা হয় মাকে নিয়ে। সে দ্বীন বুঝেনা। আবার সে স্বাভাবিকভাবে সে শিক্ষিতও না, বুঝবানও না। আমার ছোট ভাইও থাকে একসাথে তবে আলহামদুলিল্লাহ পর্দার তেমন সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু মা ই বুঝতেছে না। আমাদের বিষয়ে বেশি ইন্টারফেয়ার করে। রান্নাবান্না নিয়ে স্ত্রীকে কথা শোনায়। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে কটু কথা বলে। এগুলোর কারনে আমার স্ত্রী মানসিক কষ্ট পায়। সে খুব কোমল এবং সে মুরব্বিদের সাথে তর্ক এগুলো একদমই পছন্দ করে না। এজন্য মা যা কিছুই বলি না কেন সে কিছুই বলে না। পরে সে আমার সাথে এক কান্না করে, খুব মানসিক কষ্টে থাকে। আমরা প্রায় তিন বছর কাছাকাছি একসাথে। কষ্ট পাওয়ার পরও আমার স্ত্রী এত বছর একসাথে ছিল এই ভেবে যে শাশুড়ি আম্মা একদিন বুঝবে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে সমস্যা হচ্ছেই না। আদরের মাধ্যমে আমার আম্মা আমার স্ত্রী স্বাধীনতা কেড়ে নিতেছে। কোনো কিছুই অপচয় না। আমরা মানসিক প্রশান্তির জন্য ঘুরতে গেলে, প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনলে এগুলো নিয়েও মাইন্ড করে, রাগ করে, কষ্ট পায়। আমি আবারও বলছি অপচয় না। এত কিছুর পরও আমি মাকে সরাসরি কিছু বলি না কষ্ট পাবে এজন্য। এছাড়া আমাদের মেয়ে বাচ্চাকে তরবিয়তের ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। যেমন আমরা মোটামুটি অনেক কিছু বুঝি, বাচ্চার অনেক ক্ষেত্রে খুব সচেতন এবং খুব কেয়ারফুলি থাকি। খাওয়া-দাওয়া, ঘুম, বাচ্চার সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে, দ্বীনি তরবিয়তে ইত্যাদি। এসব নিয়েও সমস্যা হয় মার সাথে। এখন আমার স্ত্রী তো নিজস্ব সংসার নেই, আমরা আছি মার সংসারে। আমার স্ত্রী স্বাধীন ভাবে অনেক কিছুই করতে পারে না। এজন্য সে দিন দিন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছে। মাঝে মধ্যে আমার কাছে এসে কান্না করে। এখন আমরা যদি আলাদা হয় মা কষ্ট পাবে। কিন্তু আসলে উনার কষ্ট পাওয়াটা অযথা। আমার ছোট ভাই আছে 16-17 বছরের। এছাড়াও আমি ভাবছি যদি আমি আলাদাও হয় আমার যেহেতু সামর্থ্য আছে আলহামদুলিল্লাহ, আমি মায়ের জন্য একজন কাজের মহিলা রেখে দিবো। সে আমার মায়ের কাজগুলো করে দিবে রান্নাবান্না, কাপড় ধুয়া ইত্যাদি। তাও যেন মা কষ্টে না থাকে। কিন্তু এক সাথে থাকতে গিয়ে আমাদের সবার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের ঈমান আমল, সাদামাটা জীবনে যাপনে সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চার তরবিয়তে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও অনেক গুনাহ হচ্ছে। যেমন: হিংসা, বিদ্বেষ, গীবত ইত্যাদি। এক সাথে থেকে সম্পর্কও তিক্ত হচ্ছে। এখন কি করণীয় বুঝতেছি না।