আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ
আমি ওয়াসওয়াসা রোগী কি না একটু দেখে জানাবেন ইনশাআল্লাহ
আমি আগে হুটহাট রেগে গেলে একটা বাজে শব্দ উচ্চারণ করতাম। একদিন নামাজ আর পবিত্রতা নিয়ে বলে ফেলেছি আস্তাগফিরুল্লহ। তখন আমি ঈমান, কুফরি সংক্রান্ত মাসআলা জানতে পারি। তখন থেকে ধীরে ধীরে আমার একটা না একটা চিন্তা লেগে থাকে। আমি এখন চেষ্টা করি রাগ হলে নিজের রাগ সংবরণ করে থাকতে যেন কোনো খারাপ কথা আর না আসে। কিন্তু আমার মাথাতে সবসময় রাগ হলেই ওই শব্দ টা চলে আসে আর সেটা মনে মনে চিন্তা তে আসে নাকি আমি মুখে উচ্চারণ করে ফেলেছি এটা নিয়ে সন্দেহ হয়। এখন সবকিছু নিয়ে ভয় হয় এই বুঝি আমার ইমানে সমস্যা হয়ে গেল। বাজে চিন্তার বেশিরভাগেরই ওই শব্দ টা নিয়ে আসে সেটা মুখে বলেছি নাকি মনে মনে এটা নিয়ে টেনশনে পরে যাই। মনে চায় কেউ যদি সর্বক্ষণ আমার সাথে থাকতো কি বলি না বলি সব সে শুনতো আর তার থেকে শুনে নিতাম কোনো খারাপ কিছু বলেছি কি না। এছাড়া অন্য যেকোনো চিন্তা আসলে আমি মুখ খুলতে ভয় পাই এই বুঝি কিছু বলে ফেলবো। একা থাকলে কান্না আসে নিজেকে খুব একা লাগে, অসহায় লাগে এখন।
এ্কদিন নামাজ পড়াকালীন সময়ে আমার ছোট বাবু সিজদা দেওয়ার সামনেই বসে ছিল। যখন সিজদা দিব তখন মনে হলো আমি ওকে সিজদাহ্ দিচ্ছি নাউজুবিল্লাহ। এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম।পরদিন আবার নামাজ পড়ার সময় কালকের ঘটনা ভাবতেছিলাম যে কিভাবে ওই চিন্তা টা আমার মাথায় আসলো তাই আজ ইচ্ছে করে মনে ওই চিন্তা টা নিয়ে আসি যে আমি ওকে সিজদাহ্ দিচ্ছি।এটা আমি জাস্ট বুঝার জন্য মনে এনেছি। আমি তো জানি ইবাদত, সিজদাহ্ পাওয়ার যোগ্য একমাত্র আল্লাহ। কিন্তু এহেন ভাবনাতে কি আমি কাফের হয়ে গেলাম কি না বড় টেনশনে পরে যাই তখন।  আবার আরেকদিন  নামাজ পড়াকালীন সময়ে মূর্তি নিয়ে কি জানি চিন্তা করতেছিলাম। সিজদা দেওয়ার সময় মনে হলো আমি ওই মূর্তি কে সিজদা দিচ্ছি। এটা আজকে একবারই মনে হলো। আমি সম্ভবত ভাবতেছিলাম অনেকের সিজদা দেওয়ার সময় মূর্তি কে সিজদা দিচ্ছে এরকম ভাবে আমার এমন হয়নি। কিন্তু আমি শিওর না এটাই ভাবতেছিলাম কি না। আমার এমন ভাবনাতে কি কোনো সমস্যা হবে? নামাজ শেষে নিজেকে দোষ দিচ্ছি কেন মূর্তি নিয়ে ভাবতে গেলাম নাউজুবিল্লাহ।
১)এখন আমি যদি কখনো ইচ্ছা কৃত ভাবে কিছু বলে ফেলি তাহলে আমার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে?  সারাদিন আমার এসব ভাবতে চলে যায়, চিন্তা আমার পিছু ছাড়ে না। কাল আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ এগুলো নিয়ে কি জানি ভাবতে ছিলাম তখন মুখ কেমন বেঁকিয়ে ফেলেছি মানুষ মুখ ভাঙ্গায় যেভাবে ওভাবে। এটা নিয়ে এখন টেনশন হচ্ছে আমি আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ এগুলো কে অসম্মান করে ফেললাম কি না। আমার এগুলো এভাবে বলাতে আমার কি ঈমানে কোনো সমস্যা হবে উস্তাদ?

২) নামাজ নিয়ে উপরে  যা বললাম তাতে কি আমার ঈমানে কোনো সমস্যা হয়েছে?
৩) আগে আমি অনেক কিছু করে ফেলেছি বা এমন কোনো কাজ করেছি যাতে ইমান ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। সবই আমার অজ্ঞ তা বশত হয়েছে। একদিন নামাজ আর পবিত্রতা নিয়ে একটা গালি দিয়ে ফেলেছি তখন আমি জানতাম না এগুলো এভাবে বললে কুফুরি হতে পারে আমি ভেবেছি শুধু গালিরই গুনাহ হবে এমন।  যেদিন এগুলো নিয়ে জানতে পারি তখন তওবা করেছি। এটা নিয়ে আমি টেনশনে আছি। দয়া করে একবার উত্তর দিবেন উস্তাদ।

একটু দয়া করে উত্তর দিন উস্তাদ। এগুলো জানা খুব দরকার। আমি খুব পেরেশানি তে আছি একটু দয়া করুন।
৪) স্বপ্নে দেখলাম গোসলের সময় আমাকে জীন আমার চুল আটকে রাখছে আমি ৩ কুল পড়াকালীন সময়ে ছেড়ে দেয়। এটা দিয়ে কি বুঝাচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (731,280 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনের মধ্যে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলম-জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাস'আলা মাসায়েল বা ফাতাওয়া অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে বলছি, যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা  আমাদেরকে সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুক।আমীন।চুম্মা আমীন।
https://idaars.com/courses/waswasa/

বিঃদ্র
ওয়াসওয়াসা কোর্স সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি কোড দেয়া হবে, সেই কোড উল্লেখ পূর্বক পোষ্ট করতে হবে।নতুবা ওয়াসওয়াসা রোগীদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়া হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...