আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লহ
আমি ওয়াসওয়াসা রোগী কি না একটু দেখে জানাবেন ইনশাআল্লাহ
আমি আগে হুটহাট রেগে গেলে একটা বাজে শব্দ উচ্চারণ করতাম। একদিন নামাজ আর পবিত্রতা নিয়ে বলে ফেলেছি আস্তাগফিরুল্লহ। তখন আমি ঈমান, কুফরি সংক্রান্ত মাসআলা জানতে পারি। তখন থেকে ধীরে ধীরে আমার একটা না একটা চিন্তা লেগে থাকে। আমি এখন চেষ্টা করি রাগ হলে নিজের রাগ সংবরণ করে থাকতে যেন কোনো খারাপ কথা আর না আসে। কিন্তু আমার মাথাতে সবসময় রাগ হলেই ওই শব্দ টা চলে আসে আর সেটা মনে মনে চিন্তা তে আসে নাকি আমি মুখে উচ্চারণ করে ফেলেছি এটা নিয়ে সন্দেহ হয়। এখন সবকিছু নিয়ে ভয় হয় এই বুঝি আমার ইমানে সমস্যা হয়ে গেল। বাজে চিন্তার বেশিরভাগেরই ওই শব্দ টা নিয়ে আসে সেটা মুখে বলেছি নাকি মনে মনে এটা নিয়ে টেনশনে পরে যাই। মনে চায় কেউ যদি সর্বক্ষণ আমার সাথে থাকতো কি বলি না বলি সব সে শুনতো আর তার থেকে শুনে নিতাম কোনো খারাপ কিছু বলেছি কি না। এছাড়া অন্য যেকোনো চিন্তা আসলে আমি মুখ খুলতে ভয় পাই এই বুঝি কিছু বলে ফেলবো। একা থাকলে কান্না আসে নিজেকে খুব একা লাগে, অসহায় লাগে এখন।
এ্কদিন নামাজ পড়াকালীন সময়ে আমার ছোট বাবু সিজদা দেওয়ার সামনেই বসে ছিল। যখন সিজদা দিব তখন মনে হলো আমি ওকে সিজদাহ্ দিচ্ছি নাউজুবিল্লাহ। এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম।পরদিন আবার নামাজ পড়ার সময় কালকের ঘটনা ভাবতেছিলাম যে কিভাবে ওই চিন্তা টা আমার মাথায় আসলো তাই আজ ইচ্ছে করে মনে ওই চিন্তা টা নিয়ে আসি যে আমি ওকে সিজদাহ্ দিচ্ছি।এটা আমি জাস্ট বুঝার জন্য মনে এনেছি। আমি তো জানি ইবাদত, সিজদাহ্ পাওয়ার যোগ্য একমাত্র আল্লাহ। কিন্তু এহেন ভাবনাতে কি আমি কাফের হয়ে গেলাম কি না বড় টেনশনে পরে যাই তখন। আবার আরেকদিন নামাজ পড়াকালীন সময়ে মূর্তি নিয়ে কি জানি চিন্তা করতেছিলাম। সিজদা দেওয়ার সময় মনে হলো আমি ওই মূর্তি কে সিজদা দিচ্ছি। এটা আজকে একবারই মনে হলো। আমি সম্ভবত ভাবতেছিলাম অনেকের সিজদা দেওয়ার সময় মূর্তি কে সিজদা দিচ্ছে এরকম ভাবে আমার এমন হয়নি। কিন্তু আমি শিওর না এটাই ভাবতেছিলাম কি না। আমার এমন ভাবনাতে কি কোনো সমস্যা হবে? নামাজ শেষে নিজেকে দোষ দিচ্ছি কেন মূর্তি নিয়ে ভাবতে গেলাম নাউজুবিল্লাহ।
১)এখন আমি যদি কখনো ইচ্ছা কৃত ভাবে কিছু বলে ফেলি তাহলে আমার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে? সারাদিন আমার এসব ভাবতে চলে যায়, চিন্তা আমার পিছু ছাড়ে না। কাল আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ এগুলো নিয়ে কি জানি ভাবতে ছিলাম তখন মুখ কেমন বেঁকিয়ে ফেলেছি মানুষ মুখ ভাঙ্গায় যেভাবে ওভাবে। এটা নিয়ে এখন টেনশন হচ্ছে আমি আলহামদুলিল্লাহ, ইনশাআল্লাহ এগুলো কে অসম্মান করে ফেললাম কি না। আমার এগুলো এভাবে বলাতে আমার কি ঈমানে কোনো সমস্যা হবে উস্তাদ?
২) নামাজ নিয়ে উপরে যা বললাম তাতে কি আমার ঈমানে কোনো সমস্যা হয়েছে?
৩) আগে আমি অনেক কিছু করে ফেলেছি বা এমন কোনো কাজ করেছি যাতে ইমান ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে। সবই আমার অজ্ঞ তা বশত হয়েছে। একদিন নামাজ আর পবিত্রতা নিয়ে একটা গালি দিয়ে ফেলেছি তখন আমি জানতাম না এগুলো এভাবে বললে কুফুরি হতে পারে আমি ভেবেছি শুধু গালিরই গুনাহ হবে এমন। যেদিন এগুলো নিয়ে জানতে পারি তখন তওবা করেছি। এটা নিয়ে আমি টেনশনে আছি। দয়া করে একবার উত্তর দিবেন উস্তাদ।
একটু দয়া করে উত্তর দিন উস্তাদ। এগুলো জানা খুব দরকার। আমি খুব পেরেশানি তে আছি একটু দয়া করুন।
৪) স্বপ্নে দেখলাম গোসলের সময় আমাকে জীন আমার চুল আটকে রাখছে আমি ৩ কুল পড়াকালীন সময়ে ছেড়ে দেয়। এটা দিয়ে কি বুঝাচ্ছে?