ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিবাহের অনুষ্টানের সময় সাক্ষী উপস্থিত হওয়া শর্ত।তবে বিবাহের উকিল বা অনুমতি নেয়ার জন্য সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্ত নয়।
যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ এ সম্পর্কে বলেনঃ
(قَوْلُهُ: وَشُرِطَ حُضُورُ شَاهِدَيْنِ) أَيْ يَشْهَدَانِ عَلَى الْعَقْدِ، أَمَّا الشَّهَادَةُ عَلَى التَّوْكِيلِ بِالنِّكَاحِ فَلَيْسَتْ بِشَرْطٍ لِصِحَّتِهِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ عَنْ الْبَحْرِ،
দুজন সাক্ষী মজলিসে উপস্থিত থাকা শর্ত।
অর্থাৎ যারা মজলিসে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করবে।বিবাহের উকিল নিযুক্ত করণের সময় সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্ত নয়।(রদ্দুল মুহতার-৩/২১;)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য শরয়ী সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল শর্ত। তবে মহর উল্লেথ থাকা শর্ত নয়। যেহেতু শরয়ী সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হয়েছে, তাই বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে। এবং স্ত্রী মহরে মিছিল পাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/5929
বিয়ের জন্য খুতবাহ পাঠ সুন্নাহ। করলে ভালো, না করলেও বিবাহ হয়ে যাবে। আপনার ভাইকে বলবেন, পাশের মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে খুতবাহ লিখিয়ে নিয়ে আসতে।
বিবাহ দোহরিয়ে নেয়ার পর পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করা লাগবে না। মোহরানা নতুন করে ধার্য করা লাগবে। জুমার নামাজের আগে বা পরে যে কোনো সময় করা যেতে পারে।