আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি  ওয়া বারকাতুহ

১.আমি পরিপূর্ণ পর্দা করি,মারহাম-ননমারহাম বেছে চলি কঠোরভাবে।দেয়ালে পিঠ ঠেকার মত অবস্থা না হলে কোন ননমারহামের সাথে কথা বলতে চাইনা।স্বামীর সাথে ছাড়া ঘর থেকে বের হইনা। এই যে পর্দা নিয়ে এত কঠোরভাবে চলার চেষ্টা করছি এতে আমার স্বামীসহ অনেক আত্মীয়রা অনেক সময় আমার উপর বিরক্ত হয়ে যায়। এখন আমার প্রশ্ন হলো এভাবে পর্দা করার কারনে কি আমি নিজের উপর জুলুম করছি?
২.স্বামীর ছাড়া ঘরের দরজার বাহিরে যেতে আমার ভালো লাগেনা,ভয় কাজ করে,আর ইসলামও বলেছে মারহামসহ নারীরা বাহিরে যাবে। এখন আমি কখনো ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ছাদে যেতে চাইলে সাথে স্বামীকে নিয়ে যাই,এজন্য স্বামী কিছুটা বিরক্ত হয় সেটা বুঝতে পারি। কিন্তু আমি তো আল্লাহ আদেশে অভ্যস্ত হয়ে গেছি,এখন মারহাম ছাড়া কোথাও যেতে মোটেও স্বস্তিবোধ করিনা। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?
৩.আমার পাশের ফ্ল্যাটে মানে আমার প্রতিবেশী তারা এক ফ্লাটে ৩ পরিবার বসবাস করে যাকে বলে সাবলেট।এখন আমার প্রতিবেশীর বাসায় সর্বদাই পুরুষদের যাতায়াত হয় এবং তাদের ফ্ল্যাটের কেউই দ্বীনি মনোভাব-মানসিকতার মানুষ না,তারা আমার এই কঠোর পর্দা করাটাকে বিরূপ চোখে দেখে।তারা বিভিন্ন মানুষের কাছে বলে এই ফ্ল্যাটের মহিলা তো ঘর থেকেই বের হয়না। আমার স্বামী আমাকে পাশের প্রতিবেশী নারীদের সাথে কথা বলতেও নিষেধ করেছে কারন তারা মানুষ হিসেবে সুবিধার না। তারা আমার বাসার দরজার সামনে ময়লা ফেলে রাখে,দুর্গন্ধযুক্ত ময়লার বালতি রেখে দেয়,আমার দরজার সামনে তাদের সকলের জুতা রেখে দেয়।খাবারের প্যাকেট আমার দরজার সামনে ফেলে রাখে। আমার স্বামী খুব ভদ্রভাবে তাদের এগুলো করতে নিষেধ করেছে কিন্তু তারা কোন কথাই শোনেনা। এরপর আমি প্রতিবেশী নারীকে সালাম দিয়ে সুন্দর করে বুঝিয়ে বললাম আমার দরজার সামনে আপনাদের জুতা,ময়লা এগুলো ফেলে রাখলে বাচ্চার বাবা সকালে কাজে যাওয়ার সময় এগুলো প্রায়দিনই সরিয়ে যায়,আমিও সরিয়ে রাখি,একটু সরিয়ে সুন্দর করে রাখলে ভালো হয় সুন্দর করে বুঝিয়ে বলেছি কিন্তু তারপরও তারা একই কাজ গুলো করে। ২য় দিন আমি প্রমানসহ ময়লা প্যাকেট ফেলতে দেখার পরও তারা মিথ্যা কথা বলেছে যে এই প্যাকেট তাদের না অন্য কারো অথচ ২ ইউনিটের বাসা আমার দরজার সামনে তাদের দরজা আর কেউই নেই এখানে।তারা স্বামী স্ত্রী ২জনই মিথ্যা কথা বলে উল্টো কথা ঘুরিয়ে পেচিয়ে বিভিন্ন কথা বলা শুরু করে দিয়েছিল। এছাড়াও প্রতিবেশী নারী বিভিন্ন সময় কিছু অযাচিত দাবি করে যেমন আমার দরজার বাহিরের লাইটটা যেন তাদের জন্য জ্বালিয়ে রাখি তাহলে তারা চোর আসলে দেখতে পাবে অথচ তাদের দরজার সামনেও লাইট আছে কিন্তু তারা সেখানে লাইট জ্বালায় না। আমাদের প্রিপেইড মিটার সপ্তাহে ২ বার মিটারে কারেন্ট ভরতে হয় তাই সর্বদা একটু কারেন্ট বাচিয়ে চলার চেষ্টা করি। এখন তার এই দাবি না মানলে কি আমার গুনাহ হবে? প্রতিবেশী ওনাদের আচরন দেখে আমার স্বামী আমাকে একদমই নিষেধ করেছে এদের সাথে কোন কথা বলতে না। কিন্তু প্রায় সময় আমার মনে হয় এদের সাথে কথা না বলে আমি কি প্রতিবেশীর হক নষ্ট করছিনা? আমার গুনাহ হচ্ছে? আবার মনে হয় এদের সাথে মিশলে আমিও গিবত,পরপুরুষের সাথে অবাধ মেলামেশা,দুনিয়াবি মোহ বিভিন্ন ফেতনায় জড়িয়ে যাবো এজন্য তাদের সাথে ভালো মন্দ কিছুই বলিনা,দেখা সাক্ষাৎও হয়না।
৪.আমার স্বামী আমার বিয়ের কোন মোহরানা আদায় করেনি,সে আমাকে কোন হাতখরচও দেয়না। কিন্তু আমার খুব বেশি দান করতে ইচ্ছে করে,এখন আমি যদি আমার স্বামীর থেকে প্রায় সময় কিছু টাকা চেয়ে নেই কিংবা কিছু টাকা দিতে জোর করি ওনার সামর্থ্য আছে এটা জেনে তাহলে কি সেটা গুনাহ হবে? দান করার বিষয় তাকে জানাতে চাইনা,দানের ক্ষেত্রে তার কাছ থেকে উৎসাহ পাইনা।
৫.আমি স্বভাবগত ভাবেই একটু চুপচাপ,বেশি কথা বলা পছন্দ করিনা,এজন্য দেখা যায় মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় স্বজনদের সাথে তাদের মত করে মিশতে পারিনা,এজন্য তারাও আমাকে তেমন পছন্দ করে না এড়িয়ে চলে কিন্তু আমি ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি কিন্তু তাদের সাড়া কম পাই এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?  কথা কম বলার কারনে আত্মীয়স্বজনদের হক আদায় করতে না পারলে কি গুনাহ হবে?
৬.স্বামী আমাকে বাচ্চাকে তেমন সময় দেয়না এখন সপ্তাহে একদিন যদি স্বামীকে আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য জোর করি তাহলে কি স্ত্রীএবং মা হিসেবে আমার গুনাহ হবে?

৭.বাদ ফজর কোরআনের তালিম শুনতে গেলে সঠিক সময়ে নিজের রুটিনমাফিক আমল করা হয়না এখন আআগে কি আমলকে গুরুত্ব দিবো নাকি কোরআনের তালিমকে যেখানে কোরআন পড়া হয় তাফসির পড়া হয়?

1 Answer

0 votes
by (705,510 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

★উপরোক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, প্রয়োজন ছাড়া মেয়েদের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।

দ্বীনী বা বৈধ কোন জরুরী বিষয় থাকলে পর্দার আড়ালে থেকে কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
আপনি নিজের উপর জুলুম করছেননা।

(০২)
যদি কোন গায়রে মাহরাম পুরুষ মানুষের ছাদে ওঠার সম্ভাবনা না থাকে,ফিতনার আশংকা না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি পূর্ণ পর্দায় আবৃত অবস্থায় ছাদে যেতে পারবেন।

এক্ষেত্রে সেই বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়া ভালো হবে।

এমতাবস্থায় স্বামী রাগান্বিত হলে তাকে যেতে বাধ্য করবেননা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার এই দাবি না মানলে আপনার গুনাহ হবেনা।

আপনি প্রতিবেশীর হক নষ্ট করছেন না।

(০৪)
আপনার মোহরানা পরিশোধের জন্য বা আপনার আবশ্যকীয় হাত খরচের জন্য আপনি তার থেকে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জোর করতে পারবেন। এটি আপনার অধিকার। 

https://ifatwa.info/115216/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
স্ত্রী তার স্বামীর মাল থেকে ওয়াজিব হক্ব পরিমাণ সম্পদ গ্রহণ করতে পারবে।অর্থাৎ স্বামীর উপর স্ত্রীর খোরাকি এবং নিজ সন্তানাদির খোরাকি পরিমাণ শরীয়ত কর্তৃক যা ওয়াজিব ছিলো, সেটাকে স্ত্রী গ্রহণ করতে পারবে।

 ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ : ﺃﻥ ﻫﻨﺪ ﺑﻨﺖ ﻋﺘﺒﺔ ﻗﺎﻟﺖ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ، ﺇﻥ ﺃﺑﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺭﺟﻞ ﺷﺤﻴﺢ ﻭﻟﻴﺲ ﻳﻌﻄﻴﻨﻲ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻨﻲ ﻭﻭﻟﺪﻱ ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃﺧﺬﺕ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺧﺬﻱ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻚ ﻭﻭﻟﺪﻙ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ .
"হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত,হিনদ বিনতে উতবা রাঃ নবী কারীম সাঃ এর কাছে (নিজ স্বামীর অভিযোগ নিয়ে এসে) বললেনঃহে রাসুলুল্লাহ সাঃ আবু সুফিয়ান একজন কৃপন মানুষ, সে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেয় না,যদ্দরুন তার অজান্তে তার মাল থেকে আমি খরছ করে ফেলি, (এ বিষয়ে শরীয়তের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে বলুন)রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ ন্যায়সঙ্গত ভাবে তোমার ও তোমার সন্তানদের যা প্রয়োজন তা (তার অজান্তে)নিয়ে নিতে পারো(এতে কোনো অসুবিধা হবে না)।" (সহীহ বুখারীঃ৫৩৬৪)আরও বর্ণিত আছে৫৭৮৬ নং হাদীসে। 

স্বামীর উপর স্ত্রী ও নাবালিগ সন্তানদের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব,এই ওয়াজিব হক্ব আদায় না করা দরুণ রাসুলুল্লাহ সাঃ স্বামীর অজান্তে স্বামীর মাল থেকে স্ত্রীকে উসূলের অনুমতি দিয়েছেন। এ সম্পর্কে  বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1111

(০৫)
কথা কম বলার কারনে আত্মীয়স্বজনদের হক আদায় করতে পারবেননা,বিষয়টি তো এমন নহে।

আপনি ফোনে তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবেন। মাসে বা দুই তিন মাস পর পর হলেও প্রত্যেককে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাদের সুখে-দুখে সাধ্যমত পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন, তাহলে আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় হবে।

(০৬)
না,এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
এটি আপনাদের অধিকার। 

(০৭)
যেহেতু তালিম শুনতে গেলে নিজের রুটিন মাফিক আমল করা হয়না,তাই নিজের আমলকে প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করবেন।

কিন্তু আমলটি যদি পরবর্তীতেও করতে পারেন,সেক্ষেত্রে তালিম মিস না দেয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...