আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
reshown by

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ মোহতারাম 

আপনার কাছে আগে একটা প্রশ্ন করেছিলাম যে ভালোভাবে লজ্জাস্থান কাপড় দিয়ে মুছে নামাজে দাড়ালে।নামায শেষে লজ্জাস্থান এর মুখে আঙুল রাখলে কিছুটা হালকা তরল দেখা যায় যা গড়িয়ে পড়ে না

তার উত্তরের আপনি বলেছিলেন 

~ নামাজ শেষে জরায়ুর মুখে আঙ্গুল রাখলে পানির মতো দেখা যায় যা একদম হালকা হাতের তালু ঘামলে যেমন চকচক করে তেমন, কখনো একটু বেশি তরল তবে গড়িয়ে পড়ে না। দুই আঙুল দিয়ে ঘষা দিলে শুকিয়ে যায়। এর জন্য অযু ভেঙ্গে যাবে না।

১, আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি বেশিরভাগ সময়ই দেখি আমার সেলোয়ারে অনেক পাতলা সাদাস্রাবের দাগ।নামাজের আগে আমি কাপড় পরিবর্তন করেই নামাজ পড়ি।এক্ষেত্রে  কি উপরের উত্তর অনুযায়ী অযু ভাঙবে না?কারন যেই পানির মতো তরল আঙুলে দেখা যায় তাতে সাদাস্রাব কোনো আলামত ছিলো কিনা  আমি তো জানি না।

২,  আবার যদি এমন হয় আঙুলে দেখা যায় পানির মতো কিন্তু কোনো কালো কাপর দিয়ে দেখলে তা শুকালে কিছুটা সাদা দেখা যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে অযু ভেঙে যাবে কি?

৩, আমার  গত মাসে পিরিয়ডের আগে ৩/৪ দিন হলুদ স্রাব গেছে তার পর ১ দিন পবিত্র থেকে হায়েযের রক্ত আসছে যা অভ্যাস অনুযায়ী ৯ দিন ছিলো।গত মাসে প্রথম থেকেই হায়েয ধরেছি পরের গুলো ইস্তিহাযা ধরে নামাজ পড়েছি। কিন্তু এ মাসেও একই অবস্থা। এখন আমি কি হায়েয রক্ত যেদিন দেখবো সেদিন থেকেই হায়েয ধরবো? না হলে পরে রক্ত নিয়ে নামাজ পড়াটা খুবই খারাপ লাগে, খুশুখুযু থাকে না।আর প্রথম দিকে যে হলুদ স্রাব যায় তা খুবই সামান্য তাও আবার ১/২ ওয়াক্তে টিস্যু দিয়ে দেখলে খুবই হালকা হলুদ স্রাব। দয়া করে পরামর্শ দিয়ে সাহায্যে করুন, উস্তাদ। 

1 Answer

0 votes
by (731,280 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
https://www.ifatwa.info/129626 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে,
"নামাজ শেষে জরায়ুর মুখে আঙ্গুল রাখলে পানির মতো দেখা যায় যা একদম হালকা হাতের তালু ঘামলে যেমন চকচক করে তেমন, কখনো একটু বেশি তরল তবে গড়িয়ে পড়ে না। দুই আঙুল দিয়ে ঘষা দিলে শুকিয়ে যায়। এর জন্য অযু ভেঙ্গে যাবে না।"

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
লজ্জস্থানের ভিতর পানি থাকলে সেই পানি গড়িয়ে না পড়লে অজু নষ্ট হয় না। তবে লজ্জস্থানের বাহিরে চলে আসলে এবং কাপড়ে লাগলে অজু নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার পূর্বের প্রশ্নে আমরা বুঝেছিলাম যে, পানি লজ্জস্থানের ভিতরে ছিল, তাই আমরা বলেছিলাম যে, অজু নষ্ট হবে না।কিন্তু এখন বুঝতেছি যে, উক্ত পানি লজ্জস্থানের বাহিরে চলে আসতেছে,কেননা কাপড়ে দাগ পড়ছে, তাই আমরা বলবো যে, অজু নষ্ট চলে যাবে। মোটকথা, লজ্জাস্থানের বাহিরে সাদাস্রাব চলে আসলে অজু নষ্ট হয়ে যাবে।

(২)
অজু ভঙ্গ হবে কি না?  সেটা নির্ভর করবে, লজ্জাস্থানের বাহিরে স্রাব আসছে কি না?  সেটার উপর।

(৩) হলুদ স্রাব আসার পর যেহেতু তিনদিন তিনরাত স্থায়ী ছিলো, তাই এই স্রাব থেকেই হায়েযের গণনা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...