আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
20 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (29 points)

আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। 

১। ক।ফজরের পর সুরা ইয়াসিন 

খ।মাগরিবের পর সূরা ওয়াক্বিয়া

গ। এশার পর বা রাতে ঘুমানোর আগে সূরা মূলক পড়া কি সহিহ হাদিস এ আছে?

ঘ। প্রতিদিন লা হাওলা ওলা ক্বুওঅঅয়াতা ইল্লা বল্লাহিল আলিইয়িল আজিম ১০০ বার পড়লে মনের আশা পূরণ হয়।  এইটা কি সহি হাদিসে আছে?

ঙ।  লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকাল্লাহু লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়ালা ক্বুল্লি শাইয়িন ক্বাদির ১০০ বার পড়া প্রতিদিন।  এটা কি সহি হাদিসে আছে।।  

২। জয়ীফ হাদিস কোন গুলা বর্ণনা করা যাবে?  

৩।জয়ীফ হাদিস আমল করার শর্ত কি কি?

1 Answer

0 votes
by (695,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ক, 
https://ifatwa.info/8144/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

ফজরের পর সূরা ইয়াসিন সংক্রান্ত হাদীসঃ

দারেমী শরীফে এসেছেঃ

عن عطاء بن أبي رباحٍ قال: بلغني أن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: من قرأ یٰٓس في صدر النہار قضیت حوائجہ۔ (رواہ الدارمي) (فضائل اعمال / فضائل قرآن ۱؍۵۲ إشاعۃ دینیات دہلي)

’আত্বা ইবনু আবূ রবাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নির্ভরযোগ্য সূত্রে আমার কাছে এ কথা পৌঁছেছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দিনের প্রথম অংশে সূরা ইয়াসীন পড়বে, তার সব প্রয়োজন পূর্ণ হবে।

(দারিমী ৩৪৬১,মিশকাত ২১৭৭)



অন্যত্রে এসেছেঃ

عن شہر بن حوشب قال: قال ابن عباس رضي اللّٰہ عنہ : من قرأ یٰسٓ حین یصبح، أعطي یسر یومہ حتی یمسي، ومن قرأ ہا في صدر لیلۃ أعطي یسر لیلتہ حتی یصبح۔ (المسند للإمام الدارمي، بحوالہ: أحکام القرآن للقرطبي ۲؍۱۵)

হজরত ইয়াহইয়া ইবনে কাসির রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে সুরা ইয়াসিন পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুখে-স্বস্তিতে থাকবে। যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত শান্তিতে থাকবে।’



আরো জানুনঃ



★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ফজিলত যেই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, সেটি সহীহ হাদীস নয়। মুহাদ্দিসিনে কেরামগন উক্ত হাদীসকে জয়ীফ বলেছেন।
তবে হাদীসটি আমলযোগ্য।

(খ-গ)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبَّاسٍ الْجُشَمِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ سُورَةً مِنَ الْقُرْآنِ ثَلاَثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ وَهِيَ سُورَةُ تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট কুরআনের একটি সূরা (পাঠ করে) কোন ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করলে তাকে মাফ করে দেওয়া হয়। সেই সূরাটি হল তাবারাকল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক। 
হাসান, তা'লীকুর রাগীব ২/২২৩, মিশকাত ২১৫৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৮৯১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আরো জানুনঃ- 

★হাদীসটি হাসান।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রা.] বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

من قرأ سورة الواقعة كل ليلة لم تصبه فاقة ابدا"

 যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতে সুরা ওয়াক্বিয়াহ তেলাওয়াত করবে তাকে কখনো দরিদ্রতা স্পর্শ করবে না। হজরত ইবনে মাসউদ [রা.] তাঁর মেয়েদেরকে প্রত্যেক রাতে এ সুরা তেলাওয়াত করার আদেশ করতেন। [বাইহাকি:শুআবুল ঈমান-২৪৯৮](মিশকাত পৃঃ ১৮৯)

আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/4163/

★অনেকেই হাদীসটিকে জয়ীফ বলেছেন।

ঘ,
এই উক্তি “لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ (الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ)” স্মরণ ও উচ্চারণ করা অতি উত্তম এবং তার অনেক সহীহ (গ্রহণযোগ্য) হাদীস রয়েছে।
কিন্তু “প্রতিদিন ১০০ বার বললে মনের আশা পূরণ হবে” — এটি হাদীসগতভাবে সুনির্দিষ্টভাবে পাইনি।


ঙ, 
হ্যাঁ, এটি সহীহ হাদীস আছে।

“যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে একশত বার বলবে —
‘لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ’ —
সে জন্য এটি দশজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব হবে, তার নামে একশত নেকি লেখা হবে, একশত পাপ মোছা হবে, এবং সে দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে।
আর কেউ তার চেয়ে উত্তম আমল করতে পারবে না, যতক্ষণ না কেউ ওই কথা তার চেয়ে বেশি বার বলে।”

— (সহীহ মুসলিম, কিতাব আল-যিকর ওয়াদ-দু‘আ, হাদীস নং 2691)

(০২)
হ্যাঁ বর্ণনা করা যাবে।

(০৩)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...