বিয়ে সম্পর্কিত প্রতারণা বিষয়ক প্রশ্ন।

Question

আসসালামু আলাইকুম।
কোনো ছেলে যদি কোনো মেয়েকে পছন্দ না করে। ছেলেটা মনে মনে জানে যে সে মেয়েটাকে পছন্দ করে না। তারপর ও সে অনর্থকই মেয়েটাকে বিয়ে নিয়ে মিথ্যা কথা বলে। যেমন: ঠিক আছে তাহলে চলো বিয়ে করে নিই বা আমি বিয়ে করতে রাজি আছি অথবা আমি অবশ্যই তোমাকে বিয়ে করতে চেয়েছি এবং এখনো চাই।  ( কিন্তু, আসলে মনে মনে সে মেয়েটাকে চায় না। সে চায় মেয়েটা যেনো তার জীবন থেকে চলে যায়)
অতঃপর, মেয়েটা যদি ছেলেটার মিথ্যা কথার ফাদে পা না দিয়ে চলে যায়। তাহলেও কি ছেলেটা প্রতারক হিসেবে গণ্য হবে? যদিও ছেলেটা এই কাজ কিছুদিন পরপর বারবার করতে থাকে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মেয়েটা চলে যাওয়ার পরে যদি ছেলেটা তার এসব মিথ্যাচার এবং ব্রেইন ওয়াশ এর জন্য অনুতপ্ত হয়। তাহলে তার করণীয় কি এবং সে কিভাবে এই পাপের বোঝা থেকে মুক্ত হতে পারে?

অনুগ্রহ করে জানাবেন ইনশাআল্লাহ।

Comments

আর এটাও অনেকবার বলেছিলো যে --- আমার তোমাকে ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট হয়। এসব মিথ্যাচার করে এখন অনুতপ্ত হলে করণীয় কি? 

প্রশ্নঃ০২

কেউ যদি নিজের পাপগুলো গোপন রেখে অন্যের পাপগুলো প্রকাশ করে দেয়, তাহলে সেইক্ষেত্রে পাপ প্রকাশকারী জন্য তওবার শর্ত কি যদি উক্ত ব্যক্তির নিকট ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না হয়? 

Answer 1

জবাবঃ-

بسم الله الرحمن الرحيم 

https://ifatwa.info/6260/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

শরীয়তের বিধান হলো কোন গোনাহের কাজের প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূর্ণ করা জায়েজ নয়। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহ পূর্ব প্রেম ভালোবাসায় কৃত কোনো ওয়াদা পালন করাই জরুরি নয়।  শরীয়ত বলে যে গোনাহের কর্মের কোন প্রতিশ্রুতিই পূর্ণ করা আবশ্যক নয়।

এমন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে কোনো গুনাহ হবেনা। 

وَلَا تَجْعَلُوا اللَّهَ عُرْضَةً لِّأَيْمَانِكُمْ أَن تَبَرُّوا وَتَتَّقُوا وَتُصْلِحُوا بَيْنَ النَّاسِ ۗ وَاللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ [٢:٢٢٤

আর নিজেদের শপথের জন্য আল্লাহর নামকে লক্ষ্যবস্তু বানিও না মানুষের সাথে কোন আচার আচরণ থেকে পরহেযগারী থেকে এবং মানুষের মাঝে মীমাংসা করে দেয়া থেকে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যে। আল্লাহ সবকিছুই শুনেন ও জানেন। {সূরা বাকারা-২২৪}

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم– « مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَلْيَأْتِ الَّذِى هُوَ خَيْرٌ وَلْيُكَفِّرْ عَنْ يَمِينِهِ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন কিছুর কসম খায়, তারপর এর বিপরীত কাজে কল্যাণ দেখে, তাহলে সে যেন উক্ত কল্যাণধর্মী কাজটি করে এবং স্বীয় কসমের কাফফারা প্রদান করে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৩৬২, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৩৫২,৪৩৪৭, মুসনাদে আবী আওয়ানা, হাদীস নং-৫৯৩১, মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং-১৮২৫১, মুসনাদুশ শিহাব, হাদীস নং-৫১৬, মুসনাদে ইবনুফ জিদ, হাদীস নং-১৩৬, মুসনাদে তায়ারিসী, হাদীস নং-১৩৭০, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১৪৫৭, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৩৪৫, সুনানে নাসায়ী কুবরা, হাদীস নং-৪৭২৭, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৮৬৩৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২১০৮, সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬২৪৭}

,

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শরীয়াহ বিরোধী এমন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে প্রতারক হবেনা। 

এক্ষেত্রে মেয়েটির করনীয় হলো ছেলেটিকে একেবারে ভুলে যাওয়া।

মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে খালেস দিলে তওবা করে ফিরে আসা। দ্রুত অন্যত্রে বিবাহ বসা।

ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন।