আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
4 views
ago in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। পর্দার ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন:

১| আমার দুইজন বড় ভাই আছে তাদের সামনে কেমন পর্দা করা উচিত ও তাদের আমার সাথে কেমন? বড় ভাইয়ার সাথে তেমন না হলেও মেঝ ভাইয়ার সাথে মারামারি বা মজা করে ফেলি। অনেক সময় তারা ছোট বোন বলে গাল টেনে দেওয়া বা এমনে দুষ্টামি করে মারে। এগুলো কি গুণা হবে? তাদের কিভাবে বুঝাবো এগুলো গুণা। তাদের সাথে কেমন দূরত্ব বজায় রাখা উচিত?গরমের কারণে অনেক সময় তাদের সামনে ও ওড়না ছাড়াও চলে যাওয়া হয়। আমার যথেষ্ট বয়স হয়েছে। আমরা তিনজনেরই বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় আমাদের কেমন দূরত্ব বজায় রাখা উচিত!

২| আমাদের বাসা দুই রুমের ফলে কোনো নন মাহরাম আসলে তার সামনে অবশ্যই পড়ে যাই। কারণ তাদের ওয়াশরুম বা রান্নাঘরে আসতে হলে আমাকে দেখেই ফেলে। ফলে আমি বাইরে পরিপূর্ণ পর্দা করতে পারলেও বাসায় কোনোভাবেই পারছি না। সমস্যার কারণে বাসাও পাল্টাতে পারছি না। এমন অবস্থায় কি করতে পারি? পরিবার দ্বীনদার না হওয়ায় এসব ব্যাপার গুলো তাদের কাছে খুবই তুচ্ছ। কোনো মেহমান আসলে কিছু টা বুঝে কিন্তু খালাতো, ফুফাতো ভাই আসলে সেটা আর বুঝে না। তারা নন মাহরাম সেটাই বুঝে না। বড় ভাইয়া থেকে খালাতো ভাইরা পড়তে আসে ফলে প্রতিদিন তাদের সামনাসামনি হয়ে যাই না চাইতেই। ওড়না থাকে চুল ঢাকা থাকে তবে এতে তো পরিপূর্ণ হচ্ছে না। কেমনে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করবো?

৩| শহরে থাকি। তবে ঈদে কুরবানে বাড়ি যাওয়া হয়। তখন ছোট চাচীর বাসায় থাকি। ওখানে আমার অনেক চাচাতো ভাই আছে। তিনজনের সামনে পর্দা ফরজ হয়ে গেছে। আর দুইজন ১ও ২ ক্লাসে পড়ে তাদের সামনেও কি পর্দা করতে হবে?আর যে তিনজন আছে (দুইজন ৯ এ ১জন ৭ ক্লাসে পড়ে) পর্দা ফরজ হয়ছে তাদের সামনেও করতে পারি না। কারণ ছোট বেলা থেকে এগুলো মেইনটেইন করি নাই। ফলে হিদায়েত পাওয়ার পর থেকে চিন্তা করি তবে হয়ে উঠে না। এমন অবস্থায় কি করা উচিত?

৪| অনেক সময় খালাদের বাসায় যাই। ওখানে সব খালারা একত্রিত হলে সব খালাতো ভাইবোন, খালা,খালু সবাই মিলে গল্প করে এমন অবস্থায় কি করা উচিত?এইরকম পরিস্থিতিতে পর্দা করতে পারি না। খালুদের সামনেও তো পর্দা ফরজ না?এমন পরিস্থিতির জন্য খালাদের বাসায় যাওয়া বাদ দিয়ে দিছি।তবুও অনেক সময় দাওয়াত দিলে বা কাজে যেতে হয়। আবার খালাতো ভাইরা না বুঝে কথা বলতে আসে। বা পাশে বসে যাই( এগুলো ৫,৭ ক্লাসে পড়ে)। পরিবার দ্বীনদার না হওয়ায় ওদের এসব বিষয়ে আইডিয়া নাই। তারা সহজেই কথা বলে ফেলে। বড় খালাতো ভাই গুলো বলে না তেমন প্রয়োজন ছাড়া ওদের সাথে আমিও কথা বলি না। তবে এই ছোটগুলো ওদের ও বয়স ১২,১৫ এর উপরে। এই সমস্যা গুলোতে কেমনে কি করবো বুঝে উঠতে পারি না। এই পরিস্থিতি গুলোতে কিভাবে পর্দা মেইনটেইন করবো? আর ওদের( ছোট খালাতো ও চাচাতো ভাইগুলোকে) কিভাবে বুঝাবে তাদের সাথে কথা বলা আমার গুণা হবে এবং তাদেরও?

Please log in or register to answer this question.

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...