ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার সময় স্ত্রী যদি বলে: " আমাকে তালাক দিয়ে দিন " এবং স্বামী জবাবে বলে: "যা, তোকে তালাক দিয়ে দেবো" এতে তালাক হবে না। কেননা এখানে ভবিষ্যতে তালাকের ওয়াদা করা হচ্ছে। আর ভবিষ্যতে তালাকের ওয়াদা দ্বারা তালাক হয় না।
(২) স্বামী যদি সর্বদা মায়ের অন্যায়কাজে সাপোর্ট করে,তাহলে স্বামীর গোনাহ হবে।
(৩) স্ত্রী সংসার ভাঙতে চায় না, বরং স্বামীকে সৎ পথে আনার চেষ্টা করতে চায়, ঐ বোনের উচিত তাহাজ্জুদ নামায পড়ে স্বামীর জন্য দু'আ করা। স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়া।
(৪) স্বামীকে হেদায়েতের দিকে নিয়ে আসতে স্ত্রীর উচিত, নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামায পড়ে স্বামীর হেদায়েতের জন্য দু'আ করা। স্বামীর মা বাবকে আপন করে নেয়া। স্বামীর সকল হাসি খুশীকেকে নিজের হাসি খুশী করে নেয়া। এবং স্বামীর সকল দুঃখ কষ্টকে নিজের দুঃখ কষ্ট মনে করা।
(৫) শাশুড়ির জুলুম সহ্য করে আল্লাহর কাছে শাশুড়ির হেদায়েতের জন্য দু'আ করা উচিত।
(৬) গর্ভবতী অবস্থায় স্ত্রীর ওপর শারীরিক যন্ত্রণা বা মারধর করলে, এজন্য জুলুমকারীদের অবশ্যই গোনাহ হবে।তার এর শাস্তি অবশ্যই পাবে।