আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
472 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম।শায়েখ।

  নারীদের জন্য সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করাটা কতটুকু বৈধ। যে নারীর এখনও বিয়ে হচ্ছে না। বাবা আছেন যিনি শুধু উপার্জন করেন। বয়সও হচ্ছে তার। ভাই এখনও study তে আছে। করনার কারণে তার University থেকে বের হতে সময় লাগতে পারে। বাবা মা শুধু চাকরি করার জন্য প্রেশার দিচ্ছে। যেহেতু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। তার উপর বিয়েও হচ্ছে না মেয়ে কালো, family র অবস্থা বেশি ভালো না, মেয়ে বেশি সুন্দর না ইত্যাদি, ইত্যাদি। ছেলেদের পরিবার থেকে দেখতে আসলেও তো ১৪ গুসটির সামনে বেপর্দা হতে হয়। সেইখানে আবার ছবি পাঠানো হয়। আমাদের দেশের এখনকার যে কালচার। মামা শশুর, চাচা শশুর, ঘটক, শশুর, দেবর কেউ বাদ যায় না। বিয়ের পরেও দেখা যায় এসকল পরপুরুষের সংগে দেখা দিতে হয় কথা বলতে হয়। না হয় পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে যায় শুধুমাত্র মেয়ে বলে। সবাই নামাজ কালাম পড়ে। কিন্তু ইসলামে মেয়েদের পর্দা যে ফরজ তা কেউই মানতে নারাজ। পরিপূর্ণ পর্দা কাকে বলে তাই বোঝেনা। মেয়ে বলে আমার কথাও কেউ গুরুতব দেয় না। বলে আরও দুনিয়াতে কি তুমি একাই নাকি আর মেয়েরা ভদ্রভাবে চলে না। আমি এখনও confused আমার আসলে কি করা উচিত। আমি আল্লাহকে এখন অনেক ভয় করি। আমি পথভ্রসট হতে চাই না। এই চাকরি পেলে হয়তো আমি আমার মতামত ভালো ভাবেই দিতে পারবো।এই যুগে একজন নেককার মুমিন বান্দা পাওয়া বড় দায়। যে স্ত্রীকে সম্মান করবে, যেটা ইসলাম করতে বলেছে আর স্ত্রী পর্দা করতে চাইলে তাকে পরিপূর্ণভাবে করতে দেবে। তাকে ইসলাম বিষয়ে শেখার জানার সাধীনতা দিবে। এমন মেয়ে পেলে তো খুশি থাকার কথা কিন্তু থাকে বেজার। আমার family ও ইসলামের সব বিষয়গুলো সম্পর্কে অজ্ঞ। তারা আমার কথাও ঠিকমত বুঝতে নারাজ। আমি যে কি দুঃসহ সময় পার করছি তা শুধু আমি আর আল্লাহ জানেন। আমি বেপর্দা কোনমতেই হতে চাই না। আর আমার মতকে গুরুতব দেবার মতোও কেউ নেই। সবাই ভাবে আমি নতুন এক শয়তানি শুরু করছি ওয়াজ মাহফিল শুনে। যদি চাকরিটা পাই তখন বলতে পারব কেমন ছেলে হলে বিয়ে করব। এখন বললে তো বলে তোমার জন্য কি ছেলে বানিয়ে আনবো নাকি। মানুষ কি আর সংসার করেনা। দীনদার ছেলে যদি না হয় তাইলে তো আমি পুরোই শেষ। আমার family থেকেই তো কেউ আমাকে support করবে না। শশুর বাড়ি তো আরও দূরের কথা। যেহেতু general line এ পড়েছি মহিলা মাদ্রাসায়ও তো চাকরি করতে পারবোনা। শিক্ষাক নিবন্ধন দিয়ে মহিলা মাদ্রাসায় জুনিয়র Teacher হিসেবে আসতে পারি। তাও আবার অনেক lengthy process. এখনও তো circular ই হয় নাই। তার উপর আবার ৩ ধাপে exam হয়। প্রাইমারিতে তো মহিলা শিক্ষাকই বেশি থাকে। আবার আমি যে ধরনের মহিলা মাদ্রাসার কথা বলছি সেখানে নাকি পুরুষ Teacher ই বেশি থাকে। আমার আব্বুর contract এ চাকরি করেন। ২ বছরও পুরোপুরি নাই আর চাকরির মেয়াদের। বাড়িতে বিষয় সম্পতিও বেশি নাই আব্বুর শুধু বাড়ির জায়গা আছে। বাড়ির কাজও complete করতে পারেন নাই। half কাজ অনেক আগে করে রাখছেন। আমাকে নিয়ে এখন বাসার সবার সমস্যা যেহেতু চাকরি করবো না বলছি। আব্বু বলে বাবা মার মনে কসট দিয়ে কখনও শান্তি পাবা না। আল্লাহর পর বাবা মা। কিন্তু আমি তাদেরকে আমার দিকটা বোঝাতেই ব্যর্থ। আপনি বলেন আমার এই অবস্থায় কি করা উচিত। উনারা শুধু বলেন আল্লাহ কি বলছে পরিবারকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে। মা বাবাকে বুড়ো বয়সে কসট দিতে। আপনি বলেন আমার কি করা উচিত। এখন মনে হচ্ছে এই চাকরি পেলে আমার  জীবনে এমন একজন ব্যক্তি আসুক যে আমাকে পর্দায় রাখবে আর আমার চাকরি করার প্রয়োজনই পরবে না। আল্লাহ তাকে ১টা পুরো পরিবার maintain করার তৌফিক দান করবেন। উল্টো যেন আমি দান সদকা করতে পারি। আপনার মতামত জানতে চাই শায়েখ। ছেলে আত্নীয়দের থেকেও এখন দূরে থাকতে চাইছি। আমার family আমার সমস্যাটা ভালো করে বুঝতেই পারছে না। চাকরিটা আপাতত পেলে হয়তো কিছুটা হলেও সামাল দিতে পারব। নিজের জন্যই তখন ভালো ব্যক্তিটি বাছাই করার পূর্ণ অধিকার পাবো। কেউ আমার জন্য উল্টো পালটা ছেলে নিয়ে আসবে না। আমাদের দেশের বাড়ি গ্রামে তাই posting পড়লে গ্রামেই হয়তো পড়বে। এটও আমার জন্য ভালোই হবে। আমি সারাক্ষণ মানসিক অশান্তিতে ভুগছি শায়েখ। দয়া করে আপনার মতামতটা জানাবেন কি? আমার অবস্থার কথা বিবেচনা করে।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়ত সাধারণ অবস্থায় নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শরীয়ত তাদের ওপর এমন দায়িত্ব আরোপ করে নি, যার কারণে তাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। 

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

‘আর তোমরা স্বগৃহে অবস্থান করবে এবং জাহিলিয়াতযুগের মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করে বেড়াবে না।’(সূরা আহযাব ৩৩)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا

‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

নারী মসজিদে যাওয়ার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,وَبُيُوتُهُنَّ خَيْرٌ لَهُنَّ ‘তাদের জন্য তাদের ঘর উত্তম।’ (আবু দাউদ ৫৬৭)

মহিলাদের জন্য পর্দা রক্ষা করে ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করা জায়েজ আছে। তবে এক্ষেত্রে যেন পর্দা লঙ্ঘণ না হয়, সেই সাথে শরয়ী অন্য কোন বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

হ্যাঁ, যদি উপার্জনক্ষম কোন মাহরাম আত্মীয় থাকে, বা অভিভাবক থাকে, তাহলে মহিলাদের জন্য ব্যবসা ও চাকরীর জন্য বাহিরে যাওয়া উচিত নয়।

শরয়ী পর্দা ও বিধান অনুসরণ করে মহিলাদের ব্যবসা বাণিজ্য ও চাকুরী করাতে কোন নিষেধাজ্ঞা আসেনি। তা’ই শরয়ী কোন কারণ ছাড়া মহিলাদের ব্যবসা করা ও চাকুরী করাকে হারাম বলার সুযোগ নেই।
(তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/১১৭; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫৫; আলবাহরুর রায়েক ১/২০০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৮, ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/৩৫৯)

আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবার অনুমতিতে পরিপূর্ণ পর্দা মেনে প্রাইমারী স্কুলে চাকুরী করতে পারবেন।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...