আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
48 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ। কয়েক মাস আগে রাতে ঘুমের মধ্যে একটি ছেলে এবং মেয়েকে অতি ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখি।  আবার স্বপ্নে নিজেকে দেখি অপরিচিত ছেলের সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায়। একেক সময় একেক ছেলে। আবার একবার কংকালের সাথেও ঘনিষ্ঠ অবস্থায় নিজেকে দেখেছি।স্বপ্নে তারা আমার সাথে জোরজবরদস্তি করে না আমার ও ইচ্ছে থাকে।শেষ হওয়া অবস্থায় যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন মনে হয় বাস্তবে আমার সাথে এমন হয়েছে তখন আমার অনুভূতি কাজ করে এবং সাদাস্রাব বের হয়। মনে মধ্যে দিধা বোধ হয় তাই আমি ফরজ গোসল করি।কয়েক মাস আগে দেখতাম আবার ইদানিং দেখি রাতে ঘুমে থাকা অবস্থায়। আবার দিনেও খারাপ চিন্তা মাথায় আসে। আমি কি করব এখন? আলহামদুলিল্লাহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ সময় মতো আদায় করি। যথেষ্ট পর্দা করে চলার চেষ্টা করি সর্বদা। সকাল সন্ধ্যা হিফাজতের আমল করি। রাতে ঘুমানোর সময় দুআ পড়ে ঘুমাই এবং আল্লাহর কাছে দোআ করে ঘুমাই যাতে খারাপ স্বপ্ন না দেখি। এরপরও এত বাজে স্বপ্ন দেখি নিজেকে নিয়ে। আমার কষ্ট হয় এগুলো আমি কেন দেখি আস্তে আস্তে এগুলো আমাকে মানসিক ভাবে ভেঙে দিচ্ছে। কি করলে আমি এসব থেকে মুক্তি পাবো দয়া করা জানাবেন। মিন ফাদ্বলিক।

1 Answer

0 votes
by (86,370 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/59703/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

(১) সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো, ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।

,

তাছাড়া আপনাকে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি

(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।

(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।

(৩) দু', জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

,

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،

দেখুন- http://istefta.info/1093

,

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।

لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া। মদিনার খেজুর হলে ভালো (এলাজে কুরআনী-০৩)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

আমাদের পরামর্শ থাকবে যে, ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহের বা জ্বীনের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়। তিনি আপনার উপরোক্ত বিষয়গুলোর বিষয়ে বেশী ভালো বলতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ। আমি চেষ্টা করেও কোনো মুদাব্বিরে সন্ধান পাইনি। আমি যে এরিয়াতে থাকি সেখানে খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর। আমার আপু আইওএম এর ত্বলিবা আপুর সাথে বিষয়টি শেয়ার করলে তিনি আইওএম রুকইয়া কনসালটেন্ট থেকে কথা বলে আমার সমস্যা গুলো জানাই এরপর আমাকে সেখান থেকে রুকইয়া আম্মা করতে বলেন। রুকইয়া আম্মা করার মাধ্যমে আমার সমস্যা ধরা পরে। কিন্তু শয়তান হাজির হয়নি বলে আমাকে প্রেসকিপশন দেন ৭ দিনের এবং আমি আমল শুরু করি আলহামদুলিল্লাহ  এখন ঘুমের মধ্যে কোনো কিছু দেখি না।যেহেতু সমস্যা আছে যিনি আমাকে রুকইয়া করেছিলেন তিনি বলেছিলেন আমল গুলো করেন যদি এর মধ্যে ঠিক না হয় তাহলে আর একবার রুকইয়া করে নিতে কারণ শয়তান অনেক সময় লুকিয়ে থাকে বের হয়না।  কিন্তু বেশ কিছু দিন যাবত  ওয়াশরুমে গেলে  উওেজনা সৃষ্টি হয়  সাদাস্রাব বা মিসেন বের হয় এটা আমি বুঝতে পারি না এটা সিমেন নাকি সাদাস্রাব যিনি রুকইয়া করেছেন ওনাকে বলার পর ওনি বলেছিলেন এটা ফতুয়ার ব্যাপার তিনি বলতে পারবেন না। যেহেতু আমার ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হয় ওটা যদি সিমেন হয়ে থাকে তাহলে তো আমার গোসল ফরজ হবে। পরিমাণে খুবই কম বের হয় এক আঙুল এর মাথায় রাখা যায় এমন দেখতে ঘন সাদা। একফোটা বা দুইফোটা এমন। যতবার ওয়াশরুমে যায় তত বারই এমন উত্তেজনার সৃষ্টি হয় আর ওই টা বের হয়। এমনি যখন নরমাল থাকি তখন সবকিছু স্বাভাবিক থাকে শুধু ওয়াশরুমে গেলে এমন সমস্যা হয়। আপনি আমাকে দয়া করে জানাবেন এটা সিমেন নাকি সাদাস্রাব আর গোসল কি ফরজ হয় আমার উপর?
by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। কমেন্টের উত্তর জানালে মুনাসিব হয়। 
by (86,370 points)
ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। প্রথমে আমদের পরামর্শ  থাকবে যে, ওয়াশরুমে অবশ্যই দুআ পড়ে প্রবেশ করবেন এবং সব রকম খারাপ চিন্তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

আর উপরের বিষয়টা যদি এমন হয়ে থাকে যে,  তা বের হওয়ার দ্বারা শারিরিক শান্তি অনুভব হয় এবং তার বের হওয়ার পর উত্তেজনা আর না থাকে তাহলে গোসল ফরজ হবে। অন্যথায় গোসল ফরজ হবে না। 

আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে
পুরুষের মনি বা বীর্য হলঃ যা সাদা গাঢ় একপ্রকার গন্ধমাখা পিচ্ছিল পানি যা উত্তেজনার সাথে আটকিয়ে আটকিয়ে বের হয়,এবং বের হওয়ার সাথে সাথে পুঃলিঙ্গ নেতিয়ে পড়ে, আর মহিলার বীর্য হলো,পাতলা প্রায় হলুদ বর্ণের । 
আরো জানুন - https://ifatwa.info/13648/

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...