আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু উস্তাজ,
আল্লাহ তাআলাই একমাত্র শেফাদানকারী,এই আকিদা রেখে তাবিজ ব্যবহার করা জায়েজ আছে।
তবে দেখা যাচ্ছে,
১/কেউ এলার্জি,দাতে ব্যাথা,কোমরে ব্যাথা,পিত্তথলিতে পাথর এগুলোর জন্য তাবিজ নেয়,তবে বিশ্বাস করে তাবিজের ক্ষমতা নেই,আল্লাহই আরোগ্য দানকারী।
তার সাথে সাথে মরা বাড়ি,আছি বাড়ি গেলে তাবিজের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাবে এই আকিদাও পোষণ করে,এটা কি ঠিক?
২/সাদা স্রাবের জন্য গাছের শিকড় দ্বারা তৈরি ওষুধ কি খাওয়া যাবে?
৩/কবিরাজের চিকিৎসা কি সরাসরি নাজায়েজ?জীন সাধনা কি নাজায়েজ?
৪/যারা কবিরাজ তাদের হাত অস্বাভাবিক বড় হয়।এটা শুনেছি তারা না চাইতেই আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের এমনটা হয়।অটোমেটিক হাত চলে।তুলা রাশি তাদের?নরমালি ১২টি রাশি যা বিশ্বাস করা যাবে না।তা নয়,অন্যভাবে তুলা রাশি।বুঝিয়ে বলতে পারছি না হয়তো।এমনটা কি?
৫/এলাকার খতিব সাহেব চলাফেরা,ব্যবহার সব ভালো।মিলাদুন্নবী পালন করে না।দুআতেও উম্মাহর জন্য দরদ বোঝা যায়।প্যারানরমাল সমস্যাতে আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে কবিরাজের সন্ধান নেয়া হয়সে কবিরাজ জীন সাধনা করে।সেই খতিব সাহেবের খুতবা শোনা যাবে?তার সম্বন্ধে ধারণা কেমন রাখা উচিত?
৬/তালিমে যাওয়া হয়।যশোরেরএকটা শহরে।বনানী,ঢাকা পয়েন্টের তালিম।ফাযায়েলে আমল বই থেকে তালিম করা হয়। মাছ কাটা দুআ,চুল ধরানো দুআর কথা বলে।মানে এগুলো জেনে জেনে আমল করার কথা বলে।এগুলো কি সুন্নতে আছে?তালিম শেষে মাথা নিচু করে এক হাতের তালুর উপর অন্য হাত রেখে দরুদ আর বৈঠক শেষের দুআ পড়তে বলা হয়।এটা কি ঠিক আছে?
৭/নিয়ত ভালো,কেউ নেশা করে,বাবা মায়ের অবাধ্য।এজন্য ইন্নল্লহা ইয়াসমিই মাইয়াশা ১১বার পড়লে সে বাধ্য হবে।এমন ভালো ভালো উদ্দেশ্যে কুরআনেরই কোনো আয়াত নির্দিষ্ট সংখ্যক বার পড়লে বিদআত হবে?