আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in পবিত্রতা (Purity) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১।আমার হায়েজ সাধারণত ১০ দিন করে হয় প্রতি মাসে।এ মাসে ৬ দিনেই ব্লিডিং বন্ধ হলে আমি কি পবিত্র হয়ে নামাজ পড়বো?এ সময়ে সহবাস কি জায়েজ হবে?
২।হায়েজ অবস্থায় স্বামীর যদি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার পূর্ণ আত্মবিশ্বাস থাকে তাহলে কি স্ত্রীর নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত কোনো কাপড় ছাড়া স্পর্শ করতে পারবে?সহবাস ছাড়া অন্য সবকিছুই কি করতে পারবে কাপড় ছাড়া?

1 Answer

0 votes
by (643,350 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
https://ifatwa.info/11302/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
সুরা বাকারার ২২২ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

২:২২২ وَ یَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡمَحِیۡضِ ؕ قُلۡ هُوَ اَذًی ۙ فَاعۡتَزِلُوا النِّسَآءَ فِی الۡمَحِیۡضِ ۙ وَ لَا تَقۡرَبُوۡهُنَّ حَتّٰی یَطۡهُرۡنَ ۚ فَاِذَا تَطَهَّرۡنَ فَاۡتُوۡهُنَّ مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَکُمُ اللّٰهُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَهِّرِیۡنَ ﴿۲۲۲﴾

আর তারা তোমাকে হায়েয সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, তা কষ্ট। সুতরাং তোমরা হায়েযকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হয়ো না। অতঃপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের নিকট আস, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাওবাকারীদেরকে ভালবাসেন এবং ভালবাসেন অধিক পবিত্রতা অর্জনকারীদেরকে। 

রক্ত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হয়। দ্বিতীয় অর্থানুযায়ী স্ত্রী যতক্ষণ না গোসল করেছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার সাথে সহবাস করা হারাম থাকবে। ইমাম শাওকানী এটাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। (ফাতহুল ক্বাদীর) আমাদের নিকট দু’টোই আমলযোগ্য, তবে দ্বিতীয়টি প্রাধান্য পাওয়ার অধিক যোগ্য।
,
যখন রক্ত আসা বন্ধ হয়। অর্থাৎ, গোসল ছাড়াই সে পবিত্র হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় পুরুষের জন্য তার সাথে (গোসলের পূর্বে) সহবাস করা জায়েয। ইবনে হায্ম এবং অন্য কিছু ইমামগণ এরই সমর্থক। আল্লামা আলবানীও এই মতের সমর্থন করেছেন। (আদাবুয্ যিফাফ ৪৭ পৃষ্ঠা)
,
হায়েজের সর্বোচ্চ সীমা ১০ দিনের মাথায় এসে যদি হায়েজ বন্ধ হয়,তাহলে গোসল ব্যাতিতই সহবাস জায়েজ আছে।
তবে সহবাস গোসল করার পরেই উত্তম।
আর যদি ইহার কম সময়ে হায়েজ বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে গোসল করার পর সহবাস জায়েজ আছে।
অথবা এতটুকু সময় অপেক্ষা করবে,যার মধ্যে গোসল করে কাপড় পরিধান করে নামাজ শুরু করতে পারে। বা হায়েজে শেষ হওয়ার পর  নামাজের ওয়াক্ত চলে যায়,আর নামাজ তার যিম্মায় লাযেম তথা আবশ্যকীয় হয়ে যায়।
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ ১/২১১)

ویحل وطو ئھا اذا انقطع حیضھا لا کثرہ بلا غسل وجوباً بل ندباً الخ
الدر المختار علی ہامش ردالمحتارباب الحیض جلد اول ص ۲۷۱ ۔ط۔س۔ج۱ص۱۲۲۹۴ظفیر۔
সারমর্মঃ
যদি হায়েজের সর্বোচ্চ সীমার দিনে এসে হায়েজ বন্ধ হয়,তাহলে গোসল ব্যাতিতই সহবাস জায়েজ আছে।
এ সময় গোসল ওয়াজিব নয়,বরং মুস্তাহাব।

وان لاقلہ الخ لایحل حتی تغتسل او تیمم بشرطہ او یمضی علیھا زمن یسع الغسل ولبس الثیاب الخ (الدر المختار علی ہامش ردالمحتارباب الحیض ج۱ ص ۲۷۲۔ط۔س۔ج۱ص۲۹۴)ظفیر۔
সারমর্মঃ
আর যদি তার আগেই হায়েজ বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে গোসল করা ব্যাতিত সহবাস জায়েজ নেই,
অথবা এতটুকু সময় অপেক্ষা করবে,যার মধ্যে গোসল করে কাপড় পরিধান করে নামাজ শুরু করতে পারে। 

★প্রতি মাসে অভ্যাস অনুযায়ী যেই নির্দিষ্ট দিন গুলো রয়েছে,এর আগেই যদি হায়েজ শেষ হয়ে যায়,তাহলে তো সেই নির্দিষ্ট দিন গুলো শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস কোনোভাবেই জায়েজ নেই।
কারন পুনরায় হায়েজ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
,
আর যদি উক্ত নির্দিষ্ট দিনে এসে হায়েজ বন্ধ হয়ে যায়,তার অভ্যাস যদি ১০ দিনের কম হয়, তাহলে গোসল বা নামাজের এক ওয়াক্ত অতিক্রম করার আগ পর্যন্ত  সহবাস জায়েজ নেই।
এতে গুনাহ হবে।
,
হায়েজের সর্বোচ্চ সীমা ১০ দিনের মাথায় এসে যদি হায়েজ বন্ধ হয়,তাহলে গোসল ব্যাতিতই সহবাস জায়েজ আছে।
তবে সহবাস গোসল করার পরেই উত্তম।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হায়েজ যদি একেবারে বন্ধ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে ফরজ গোসলের পর আপনি নামাজ পড়বেন।

ফরজ গোসলের পর এক্ষেত্রে সহবাস জায়েজ হবে।

(০২)
না,কাপড় বিহিন স্পর্শ করতে পারবেনা।

শরীয়তের বিধান হলো হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীর নাভি ও নাভির উপরের অংশ থেকে এবং হাটু ও হাটুর নিচের অংশ থেকে উপকৃত হওয়া যাবে।

নাভি ও হাটুর মাঝের স্থান থেকে কাপড় বিহীন উপকৃত হওয়া যাবেনা।
তবে মাঝে কাপড় থাকলে এ অঙ্গ গুলি থেকেও উপকৃত হওয়া যাবে।
তবে সহবাস তথা লিঙ্গ প্রবেশ করা যাবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...