(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে পিতার সমুদয় সম্পদকে মোট ৯ ভাগে ভাগ করা হবে। এর মাঝে ৬ ভাগ দেয়া হবে ৩ ছেলেকে সমান হারে তথা ২+২+২ করে।
তথা প্রতি পুত্র পাবে দুই ভাগ করে।
বাকি তিন ভাগকে তিন বোনের মাঝে সমানহারে ভাগ করা হবে। তথা প্রতি কন্যা পাবে এক ভাগ করে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন :
يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ فَإِنْ كُنَّ نِسَاءً فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِنْ كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ
অর্থ : আল্লাহ তোমাদের সন্তান-সন্ততি সম্পর্কে আদেশ দিচ্ছেন যে, এক ছেলের অংশ দুই মেয়ের অংশের সমান। কিন্তু যদি কেবল (দুই) বা দুই-এর অধিক মেয়েই থাকে তবে মৃত ব্যক্তি যা কিছু রেখে গেছে, তারা এর দুই-তৃতীয়াংশ পাবে। আর যদি শুধু একজন মেয়ে থাকে তবে সে অর্ধেক পাবে। (সূরা নিসা ৪ : ১১)
(০২)
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,
عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: جَاءَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُنِي مِنْ وَجَعٍ اشْتَدَّ بِي، زَمَنَ حَجَّةِ الوَدَاعِ، فَقُلْتُ: بَلَغَ بِي مَا تَرَى، وَأَنَا ذُو مَالٍ، وَلاَ يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَةٌ لِي، أَفَأَتَصَدَّقُ بِثُلُثَيْ مَالِي؟ قَالَ: لاَ قُلْتُ: بِالشَّطْرِ؟ قَالَ: لاَ قُلْتُ: الثُّلُثُ؟ قَالَ: الثُّلُثُ كَثِيرٌ، أَنْ تَدَعَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَذَرَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ، وَلَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً تَبْتَغِي بِهَا وَجْهَ اللَّهِ إِلَّا أُجِرْتَ عَلَيْهَا، حَتَّى مَا تَجْعَلُ فِي فِي امْرَأَتِكَ
হযরত আমের ইবনে সাদ তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, বিদায় হজ্বের সময় আমার এক কঠিন পীড়ায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসেন। তখন আমি বললাম, আমার মুমূর্ষ অবস্থা তো আপনি দেখছেন, এদিকে আমার অনেক সম্পদ আছে। আর আমার একমাত্র ওয়ারিস আমার মেয়েই। আমি কি আমার সম্পদের দুই তৃতীয়াংশ (গরীবদেরকে) সদকা করে দেবো? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক? নবীজী বললেন, না। এক তৃতীয়াংশ? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এক তৃতীয়াংশ এবং এক তৃতীয়াংশও অনেক। নিশ্চয়ই তুমি যদি তোমার ওয়ারিসদেরকে স্বচ্ছল রেখে যাও
তাহলে সেটা উত্তম হবে তাদেরকে এমন দরিদ্র রেখে যাওয়ার চেয়ে যে, তারা মানুষের কাছে হাত পাতবে। তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্যেশ্যে যা ব্যয় করবে তার উত্তম প্রতিদান পাবে। এমনকি স্বীয় স্ত্রীর মুখে তুলে দেওয়া লোকমার বিনিময়েও। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১২০
★শরীয়তের বিধান মতে এক্ষেত্রে পুত্র আগেই মারা যাওয়ার কারনে যেহেতু তার স্ত্রী সন্তান সম্পদ পায়না,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ওসিয়ত ছহীহ আছে।
,
ওসিয়তের ক্ষেত্রে মাইয়্যিতের এক তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে ওসিয়ত পূরন করতে হয়,সুতরাং এক্ষেত্রে যতটুকুর ওছিয়ত তিনি করে গেছেন,এটা যদি মাইয়্যিতের এক তৃতীয়াংশ সম্পদ বা তার চেয়ে কম হয়,তাহল তো কোনো সমস্যা নেই।
এই অছিয়ত পূরন করার পর বাকি সম্পত্তি ওয়ারিশ দের মাঝে বন্টন হবে।
,
পিতা যতটুকুর ওছিয়ত করে গেছেন,এটা যদি মাইয়্যিতের এক তৃতীয়াংশ সম্পদের চেয়ে বেশি হয়,তাহলে এক তৃতীয়াংশ সম্পদের মধ্যেই অছিয়ত পূরন করব।
বাকি সম্পত্তি দুই তৃতীয়াংশ ওয়ারিশ দের মাঝে বন্টন হবে।