আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
আমি জানি, (আল-ক্বদির) আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামসমূহের একটি। আমি জানতাম রহিম বলে যেমন মানুষকে ডাকা যায়।  কাদের বলে কোনো মানুষকে ডাকা যায় কিনা এ বিষয়ে সন্দেহ থাকায় কাউকে এ নামে ডাকি না। আজকে হঠাৎ একজন আমাকে বলতেছে " ঐ যে কাদেররে চিনস না.........."আমি উত্তরে বলি "কাদের নামের একজন তো ছিল"

হুজুর আমার প্রশ্ন হলো :১/ আমি জানতাম (আল-ক্বদির) আল্লাহর নাম। কিন্তু এ নামে কাউকে সরাসরি ডাকা যাবে কিনা তা জানতাম না। রাহিম, আযীয, আলী নামগুলো যেমন সরাসরি কোনো মানুষের নাম হতে পারে তেমনি এ নামটি সরাসরি মানুষের নাম রাখা যায় কি না এ নিয়ে সন্দেহ ছিল। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?  ইমান, বিবাহ নবায়ন করতে হবে?

২/ কেউ যদি কিছুটা জেনে কিছুটা না জেনে শিরিক করে ফেলে তার বিধান কি? সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (670,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
১. আল্লাহ তা'আলার ঐ সমস্ত আসমায়ে হুসনা(সুন্দর সিফাতি নাম সমূহ) যা আল্লাহ তা'আলার সত্বাগত(জাতি)নাম সমূহের মধ্য থেকে একটি। অথবা যে আসমায়ে হুসনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা'আলার সিফাতে মাখছুছ(বিশেষত সিফাত) অর্থে ব্যবহৃত হয়।সেই আসমায়ে হুসনা সমূহকে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো জন্য ব্যবহার করা জায়েয হবে না।যেমনঃ
اللّٰه، الرحمن، القدوس، الجبار، المتكبر، الخالق، البارئ، المصور، الرزاق، الغفار، القهار، التواب، الوهاب، الخلاق، الفتاح، القيوم ، الرب، المحيط ،المليك، الغفور، الأحد ، الصمد، الحق، القادر، المحي،
উচ্ছারণঃ আল্লাহ,রাহমান,কুদ্দুস,জাব্বার,মুতাকাব্বির,খালিক্ব,বারী,মুসাওয়ির,রাজ্জাক,গাফ্ফার,ক্বাহ্হার,তাওয়্যাব,ওয়াহ্হাব,খাল্লাক্ব,ফাত্তাহ,কাইয়্যুম,রাব্ব,মুহিত্ব,মালী...ক,গাফুর,আহাদ,সামাদ,হাক্ব,ক্বাদির,মুহয়ী।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/463

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) আল-ক্বাদির নামটি আল্লাহর সাথে বিশেষিত। সুতরাং এই নাম দ্বারা আল্লাহ ব্যতিত কাউকে ডাকা যাবে না। আল্লাহ ব্যতিত কারো জন্য এই নাম ব্যবহার করা হলে শিরিক হবে। তবে অজ্ঞতাবশত কেউ ডেকে নিলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4560

(২) কিছু জেনে কিছু না জেনে শিরিক করে ফেললে ঈমান থাকবে কি না? বিষয়টা ব্যখ্যা সাপেক্ষ্য। সর্বক্ষেত্রে সমান বিধান প্রযোজ্য হবে না। মূল বিষয় উল্লেখ করে প্রশ্ন করতে হবে। আকাঈদ সম্পর্কে কাল্পনিক প্রশ্ন এড়িয়ে চলা উচিত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...