বিসমিহি তা'আলা
সমাধানঃ-
মোহরের সামর্থবান হওয়ার অর্থ হল, পাত্র সে তার ক্যাটাগরির ফ্যামিলি র পাত্রীর মোহর আদায় করার সামর্থবান হওয়া।
মোহর পাত্র নিজেই উপার্জন করে আদায় করবে।
কেননা ছেলে বালেগ হওয়ার পর তার ভরণপোষণের দায়ভার তার নিজের উপরেই বর্তায়।
হ্যা তার পিতা মাতা ও আত্মীয়-স্বজন যদি তার মোহর আদায় করে দেয় তবে তো সেটা অনেক ভালো।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻣَﺴْﻌُﻮﺩٍ - ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ - ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -: «ﻳَﺎ ﻣَﻌْﺸَﺮَ اﻟﺸَّﺒَﺎﺏِ ﻣَﻦِ اﺳْﺘَﻄَﺎﻉَ ﻣِﻨْﻜُﻢُ اﻟْﺒَﺎءَﺓَ ﻓَﻠْﻴَﺘَﺰَﻭَّﺝْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺃَﻏَﺾُّ ﻟِﻠْﺒَﺼَﺮِ ﻭَﺃَﺣْﺼَﻦُ ﻟِﻠْﻔَﺮْﺝِ، ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﻌَﻠَﻴْﻪِ ﺑِﺎﻟﺼَّﻮْﻡِ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﻪُ ﻭِﺟَﺎءٌ» . ﻣُﺘَّﻔَﻖٌ ﻋَﻠَﻴْﻪِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
হে যুবকদের দল!তোমিদের মধ্যে যাদের বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে সে যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে তার জন্য চক্ষু ও লজ্জাস্থানের হেফাজতের মাধ্যম।আর যে বিয়ের সামর্থ্য রাখেনা সে যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা তার জন্য খাহেশাতকে নির্মূল করার মাধ্যম।
মিশকাত হা নং ৩০৮০
মুল্লা আলী কারী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা করতে যেয়ে বলেন-
ﻭَﻣَﻌْﻨَﺎﻫَﺎ اﻟْﺠِﻤَﺎﻉُ ﻣُﺸْﺘَﻖٌّ ﻣِﻦَ اﻟْﺒَﺎﻩِ اﻟْﻤُﻨْﺰَّﻝِ، ﺛُﻢَّ ﻗِﻴﻞَ ﻟِﻌَﻘْﺪِ اﻟﻨِّﻜَﺎﺡِ ﺑَﺎﻩٌ، ﻷَِﻥَّ ﻣَﻦْ ﺗَﺰَﻭُّﺝَ اﻣْﺮَﺃَﺓً ﺑَﻮَّﺃَﻫَﺎ ﻣَﻨْﺰِﻻً، ﻭَﻓِﻴﻪِ ﺣَﺬْﻑٌ ﻣُﻀَﺎﻑٌ ﺃَﻱْ: ﻣُﺆْﻧَﺔُ اﻟْﺒَﺎءَﺓِ ﻣِﻦَ اﻟْﻤَﻬْﺮِ ﻭَاﻟﻨَّﻔَﻘَﺔِ،
সামর্থ্যর ব্যখ্যা হল,সহবাসের সামর্থ্য থাকা
কেউ কেউ বলেন,বাসস্থান প্রদাণের সামর্থ্য থাকা
কেউ কেউ বলেন,এখানে কিছু একটা উহ্য রয়েছে,
অর্থাৎ মহর এবং নফক্বার সামর্থ্য থাকা।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
একটি হল জরুরত এবং দ্বিতীয়টি হল খাহেশাত।
সর্বনিম্ন মহর হল ১০দিরহাম।যা আমাদের বাংলাদেশী টাকায় কমবেশ ৪,০০০টাকা।
যতটুকু সম্ভব ততটুক মহর আদায় পূর্বক মহিলার দৈনন্দিন জরুরত পূর্ণ করতে পারলেই কোনো পুরুষকে বিয়ের সামর্থবান হিসেবে গণ্য হবে।মহিলার খাহেশাত তথা প্রয়োজন অতিরিক্ত চাহিদা পূর্ণ করা সামর্থ্যর আওতাধীন নয়।
(কিতাবুল ফাতাওয়া;৪/৩০৭)
কোনো কোন সাহাবী তা'লিমে কোরআনের বিনিময়ে বিয়ে করেছেন।এরশাদ হয়েছে স্বাধীন মহিলার মহরের টাকা সংগ্রহ করতে না পারলে দাসীকে(অন্যর দাসী) বিয়ে করতে পারো।এতে কোনো সমস্যা নাই।
সর্বযুগেই মহরকে আদায় করতে নিজ সামর্থ্য ভিতর যা রয়েছে তাকেই মহর হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।যেমনঃ-
হযরত মুসা আঃ উনার স্ত্রীর মহর হিসেবে ১০ বছর বকরী রাখালি করেছেন।
তাছাড়া মহরকে বাকীও রাখা যায়।এবং কিস্তিতে ও আদায় করা যায়।
সম্মাণিত দ্বীনী ভাই!
বালেগ পুরুষ তার মহর সে নিজেই আদায় করবে।পিতামাতা আত্মীস্বজন তার পক্ষ থেকে আদায় করে নিলে সেটা তো অনেক অনেক উত্তম।
বিয়ের বয়স তথা বালেগ হয়ে গেলে বিয়ে করে নেয়াটাই অর্ধেক ঈমান পূর্ণ করার নামান্তর।
তৎক্ষণাৎ মহর না থাকলে বাকীতে /কিস্তিতেও আদায় করতে পারবেন।
মহর নিজ সামর্থ্যানুযায়ী ঠিক করবেন।যাতে আদায় করা উনার জন্য সহজ হয়।
এবং নিশ্চয় তিনি এমন ফ্যমিলিকেই বেছে নিবেন যারা উনার কাছ উনার সামর্থ্যানুযায়ী মহর তলব করবে।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, IOM.
পরিচালক
ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ