আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
997 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম,
যদি কেউ ছোট বয়স থেকেই দ্বীন চর্চা করে বড় হন অর্থাৎ উনি কুরআন হাদিস পড়েছেন এবং এক সময় সেই অনুযায়ী আমলও করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে উনি দাবি করে বসেন যে হাদিস যা আছে সব বাতিল, শয়তান সব নষ্ট করে দিয়েছে। এবং সরাসরি কুরআন থেকে আমল করতে হবে। এবং প্রচলিত নামাজ ভুল। নামাজ মানে ধ্যান। আর নামাজ নাকি ৩ ওয়াক্ত। আমরা নাকি ভুল করি। তাকে একাধিক বার আলেমদের সাথে কথা বলার জন্য সাজেশন দেয়া হয় কিন্তু তাঁর মতে সকল আলেম হাদিস মানে তাই তারা ভুল আর কুরআন সহজ তাই তাঁর কোন আলেম লাগে না। সে অনুবাদ পড়েই সব পারে।

এমন আকিদা বিশ্বাসী কি কাফির নাকি মুরতাদ?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-

হাদিস অস্বীকার করা কিংবা কিছু হাদিস অস্বীকার করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। আমরা সংক্ষেপে বলতে চাই: উনার  বিদাতটি যদি তাকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়ার পর্যায়ে হয়; যেমন তিনি চূড়ান্তভাবে হাদিসকে অস্বীকার করেন, তার সামনে প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়েছে; কিন্তু তিনি হক্বকে অস্বীকার করছেন; তাহলে তার কুফরীর কারণে তার পিছনে আপনার নামায পড়া জায়েয হবে না। আর যদি তার বিদাত কুফুরীর পর্যায়ে না হয়; যেমন অবহেলা ও কসুরবশতঃ হাদিসে যে আমলের কথা এসেছে সেটা না মানেন; সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামায পড়া আপনার জন্য জায়েয হবে এবং আপনার নামায সহিহ হবে। আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।

ােএমন প্রশ্নের ব্যাপারে শাইখ উছাইমীন (রহঃ) থেকে নিম্নোক্ত জবাব এসেছে:

হাদিস অস্বীকার করা হতে পারে অপব্যাখ্যামূলক কিংবা অবিশ্বাসমূলক। অবিশ্বাসমূলক এভাবে যে, সে ব্যক্তি বলে: আমি জানি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলেছেন। কিন্তু আমি সেটাকে অস্বীকার করি ও মানি না। যদি এ ধরণের অস্বীকার হয় তাহলে সে ব্যক্তি কাফের মুরতাদ (ইসলাম ত্যাগকারী); এমন ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া জায়েয হবে না।

আর যদি তার অস্বীকার করাটা অপব্যাখ্যা নির্ভর হয়; তাহলে দেখতে হবে: যদি (আরবী) ভাষার আলোকে এমন ব্যাখ্যা করার অবকাশ থাকে এবং সে ব্যক্তি শরিয়তের উৎসসমূহ ও মূলভিত্তিগুলোর জ্ঞান রাখেন তাহলে তাকে কাফের গণ্য করা যাবে না; বরং তার অভিমতটি বিদাত হলে তাকে বিদাতীদের মধ্যে গণ্য করা হবে। তার পিছনে নামায পড়া যাবে; যদি না তার পিছনে নামায না পড়ার মধ্যে কোন কল্যাণের দিক থাকে; যেমন সে ব্যক্তি পিছু হটে এসে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় চিন্তা করা; সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামায না পড়া।

আপনার পিতার অবস্থা হচ্ছে তিনি হাদিসের কিছু অংশকে স্বীকার করেন; যে অংশটি কুরআনের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ও কুরআনের ব্যাখ্যামূলক। অন্যদিকে তিনি হাদিসের অপর একটি অংশকে অস্বীকার করেন যাতে রয়েছে কুরআনের অতিরিক্ত কিছু। এ ধরণের বিদাত মারাত্মক বিদাত হিসেবে গণ্য; শরিয়তপ্রেণতা যে বিদাতের ব্যাপারে শাস্তির হুমকি দিয়েছেন। যেমনটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাব্যস্ত হয়েছে: "আমি তোমাদের কাউকে তার গদির উপর উপবিষ্ট পাব না…"।

এটি একটি জঘন্য বিদাত; এমন বিদাতকারীর ব্যাপারে আশংকা হয়।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
হুজুর, এই খানে আমার পিতা আসলো কোথা থেকে? আর তাঁর পিছনে নামাজের ব্যাপারেও তো আমি কোন প্রশ্ন করি নাই। আর আমি যার কথা বলেছি সে আংশিক না সকল হাদিসকেই অস্বীকার করতেসে। ৫ওয়াক্ত নামাজ অস্বীকার করতেসে।  
by (590,550 points)
এটা ইবনে উসাইমিন রাহ এর বক্তব্য।এটা আমাদের কোনো বক্তব্য নয়।আমরা উদৃতি হিসেবে উল্লেখ করেছি।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...