বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে বস্তুর ফলাফল মৃত্যুর পর মানুষ পেতে চায়, তার নাম দ্বীন। আর যে বস্তুর ফলাফল মানুষ মৃত্যুর আগেই পেতে চায়, তাই হল দুনিয়া।
বিদআতের সম্পর্ক হল দ্বীনের সাথে। দুনিয়ার সাথে নয়। তা’ই দুনিয়াবী কোন বস্তুর ক্ষেত্রে বিদআত শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। যেমন চেয়ার টেবিল, কম্পিটউটার ইত্যাদি।
কারণ এসব কোনটিই মৃত্যুর পরের ফলাফলের জন্য কেউ নির্মিত করেনি।
কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে মিলাদ পড়া, মিলাদে কিয়াম করা ইত্যাদি বিদআত। কারণ এসবের দ্বারা মৃত্যুর পর প্রতিদান পাবার আশা করা হয়, আর এসবের প্রমাণ কুরআন হাদীস ও সাহাবা তাবেয়ীদের জমানায় ছিল না।
আর যেসব বিষয় দ্বীনী বিষয় নয় বরং দুনিয়াবী বিষয়, সেসব ক্ষেত্রে যদি সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীস বিরোধী না পাওয়া যায়, কিংবা শরীয়ত বিরোধী আর কোন কারণ না পাওয়া যায়, তাহলে উক্ত কাজটি বৈধ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/23839
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
২৭ রমজানের রাতে তারাবিহ শেষ করে হাফিজ সাহেবগণ যদি ঐ বোতলগুলোতে ফু দেন, এটাকে সুন্নাহ মনে করা যাবে না। এবং জরুরী বা দ্বীন ইসলামের অংশ মনে করা যাবে না। তবে জরুরী মনে করলে বা দ্বীন ইসলামের অংশ মনে করলে তখন সেটা বিদআত হবে।