ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নয়।অর্থাৎ ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫,কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/৪০৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1411
যদি কেউ মানুষ এমন কোনো অসুস্থতায় থাকে যে, যেই অসুস্থতার দরুণ রোযা রাখা প্রায় অসম্ভব। এবং রমজানের ফরয রোযাও যার কারনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না, এবং ঐ ব্যক্তি পরবর্তীতে ঐ অসুস্থতায় থাকাবস্থায়ই ইন্তেকাল করে, সে আর সুস্থতার জমানা পায়নি, তাহলে এমন ব্যক্তির উপর রোযার ফিদয়া দেয়া জরুরী হবে না।
في الفتاوی الشامية:
"(فإن ماتوا فيه) أي في ذلك العذر (فلا تجب) عليهم (الوصية بالفدية) لعدم إدراكهم عدة من أيام أخر (ولو ماتوا بعد زوال العذر وجبت) الوصية بقدر إدراكهم عدة من أيام أخر.
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার দাদি যদি আর সুস্থ না হন, তাহলে উনার পক্ষ থেকে ফিদয়া আদায় করা লাগবে না। আপাতত অপেক্ষা করে দেখতে পারেন। যদি তিনি সুস্থ হন, তাহলে তো রোযা রাখবেন। যদি রোযা রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে ফিদয়া দিবেন