আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
23 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)

হুজর আসসালামু আলাইকুম, 

আমার এক বন্দু ব্যাংক এ জব করে  banking মেসেঞ্জার পোস্ট এ মানে সহজ ভাবে বললে অফিস সহকারী (Office Assistant) বা পিয়ন বলেও ডাকা হয় তো ওর থেকে আগে মাজে মধ্যে  টাকা ধার নিয়েছি তো শেষ যখন টাকা ধার নিয়েছ ২০০ টাকা তার মধ্যে ১৫০ টাকা হবে হয়ত তাকে দিয়ে দিয়েছি আর বাকি ৫০ টাকা এখনো বাকি আছে। তো আমি যে ওর থেকে টাকা নিয়ে ব্যবহার করেছি এইটা কি আমার জন্য জায়েজ হয়েছে

এবং হুজুর আমার বন্দু আমার থেকে কিছু টাকা চেয়েছে ১০০০ টাকা তো আমি বলছি আমার কাছে নাই কিন্ত আমি আমার এক বন্দু থেকে টাকা পাই তো বলছি ও টাকা দিলে বা ওর থেকে পেলে দিবো টাকা তো আমি ওকে বলছি ৫০০ দিতে পারবো ওর থেকে পেলে না ও দিলে মানে যার থেকে আমি পাই এখন আমি আমার যেই বন্দু ব্যাংক জব করে ওকে ৫০০ টাকা দেওয়ার পরে যখন ওর থেকে টাকা টা পাবো back এইটা কি আমার নেওয়া জায়েজ হবে যেহেতু ও ওর জব এর ইনকাম থেকেই দিবে। বি.দ্র: এইটা বলে দি তা হচ্ছে আমি তাকে (বন্দুকে যে টাকা চেয়েছে আমার থেকে) ৩/৪ দিন আগে হবে ওকে আমি কিছু কথা বলি যেমন বা আমি মান্ডায় যামু,কাজে ব্যবহার হয়বো টাকা টা তাই তোরে দিতে পারমুনা সহজ ভাবে ধরে নেন আমি মানা করে দিছি যেই কারনি বলে হোক না কেন কিন্ত তাও উপরের ২টা প্রশ্নের জবাব দিলে আমার জন্য বিষয় টা আশা করি বুজতে সুবিধা হবে এবং ভবিষ্যৎ ওকে টাকা ধার দেওয়া বা ওর থেকে টাকা নেওয়া ঠিক হবে কিনা সাবধান থাকতে পারবো.

⚠️আরেকটু বুজাই banking messenger এর বিষয় এ যতটুকু জানতে পেরেছি তা হলো:

ব্যাংকিং মেসেঞ্জার হলো একজন কর্মচারী, যিনি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা, গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চেক, ডকুমেন্ট, ক্যাশ (যদি প্রয়োজন হয়) ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি পৌঁছে দেন। এছাড়া, অফিসের অভ্যন্তরীণ কাজেও সহায়তা করেন, যেমন চিঠিপত্র বা কুরিয়ার পাঠানো এবং গ্রহণ করা।

মানে আমার বন্দু অফিস সহকারী বা office assistant পোস্ট এ  সহজ কথায় বললে। আমার বন্দুর থেকে কিছুটা জেনে এর পরে পুরা প্রশ্নটা যত টুকু পেরেছি ঠিক ভাবে বুজিয়ে লেখার চেষ্টা করেছি i hope সঠিক পরামর্শ ও সমাধান দিবেন।

by (20 points)
আমি নিজে ও কিছুটা chatgpt থেকে জেনে মানে chatgpt এর সাহায্য নিয়ে banking messenger বিষয় টা বুজে এইখানে কথাগুলা উল্লেখ করলাম যেনো আপনারা ও বুজতে পারেন।

1 Answer

0 votes
ago by (601,230 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

https://www.ifatwa.info/81752/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

শরীয়তের বিধান মতে সুদ গ্রহণ, সুদ প্রদান উভয়ই লানতপ্রাপ্ত গোনাহ। তাই এ ভিত্তিতে লোন নেওয়া,তা দিয়ে ব্যবসা করা,অন্যকে এ থেকে লোন দেওয়া জায়েজ নয়। হারাম। 

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন  

الَّذِينَ يَأْكُلُونَ الرِّبَا لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ الَّذِي يَتَخَبَّطُهُ الشَّيْطَانُ مِنَ الْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوا إِنَّمَا الْبَيْعُ مِثْلُ الرِّبَا ۗ وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبَا ۚ فَمَنْ جَاءَهُ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّهِ فَانْتَهَىٰ فَلَهُ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُ إِلَى اللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُولَٰئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ [٢:٢٧٥

যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতে দন্ডায়মান হবে, যেভাবে দন্ডায়মান হয় ঐ ব্যক্তি, যাকে শয়তান আসর করে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্থার কারণ এই যে, তারা বলেছেঃ ক্রয়-বিক্রয় ও তো সুদ নেয়ারই মত! অথচ আল্লাহ তা’আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতঃপর যার কাছে তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে উপদেশ এসেছে এবং সে বিরত হয়েছে, পূর্বে যা হয়ে গেছে, তা তার। তার ব্যাপার আল্লাহর উপর নির্ভরশীল। আর যারা পুনরায় সুদ নেয়, তারাই দোযখে যাবে। তারা সেখানে চিরকাল অবস্থান করবে। {সূরা বাকারা-২৭৫}

হাদীস শরীফে এসেছে  
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)
,
ব্যাংক লোন হারাম।কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আসার পর সেই লোনকে পরিশোধ করার পর উক্ত লোন দিয়ে যা খরিদ বা তৈরী করা হয়েছিলো,সেটা হালালই থাকছে।যদিও লোন গ্রহণ করা হারাম ও অবৈধ ছিলো।

ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুন 

ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করা জায়েজ নয়।

লোন গ্রহণ নাজায়েয ও হারাম। যদি লোনকে হালাল টাকা দ্বারা পরিশোধ করা হয়, তাহলে লোনের টাকা দ্বারা যা কিছুই করা হবে, তা জায়েয।পরবর্তীতে যত ইনকাম হবে, তার সবই জায়েয।
লোন গ্রহণের জন্য তাওবাহ করতে হবে।

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনি যে তার থেকে টাকা করজ নিয়েছেন,এটি যদি হালাল টাকায় পরিশোধ করেন,সেক্ষেত্রে সেই টাকা ব্যবহার করা আপনার জন্য হালাল হবে।

(০২)
ব্যাংক জব করে সেই বন্ধুকে ৫০০ টাকা করজ দেয়ার পর সে যখন তাহা আপনাকে পরিশোধ করবে,সেই টাকা গ্রহণ করা ও ব্যবহার করা আপনার জন্য জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by (20 points)
হ্যা হুজুর আমি জব করি যেইখানে ওইটা হচ্ছে travel Agency আমার দুলাভাই এর তো বলতে পারেন আমি আমার অনুযায়ী ও কাজ করতে পারি এবং আমি আমার বেতন এর টাকা বা বাসা থেকে হবে যেইকোন একটা হবে বাসা থেকে নিয়ে বা বেতন থেকে আমি টাকা পরিশোধ করি তার আর বাকি যেইটা আছি ওইটা ও এইভাবে পরিশোধ করে দিবো
এবং শুকরিয়া সমাধান দেওয়ার জন্য। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...