আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (83 points)
১।ইসলামের বিধান শতভাগ নির্ভুল সঠিক এবং ভালো। মত পাথর্ক্য বা যদি ভুল থাকে গবেষকদের বা মাজহাব এর ইমামদের এরকম আকিদা সঠিক কিনা

২।মাহফিলের পোস্টারে বাংলাতে বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার লেখা সেই পোস্টার মাদ্রাসার মাঠে পরা ছিলো যেখান দিয়ে মানুষ চলাচল করে। আমি সেটা উঠিয়ে আমাদের পাশের গ্রামে একটি পুকুরে ফেলতে গিয়ে নিচের পারে পরে যায়  যেখানে দোকানপাটের ময়লা ফেলায় এখন সেটা উঠাইনি এখন কি আমার গোনাহ হবে ইমানে সমস্যা হবে নাকি কিছুই হবেনা?

৩। আগের ২ নং প্রশ্নের বিষয়ে আমি বলছিলাম :স্যার আমি আপনার সাচার স্কুলের স্টুডেন্ট আপনি আমার কাছে প্রাইভেটের টাকা পাইতেন আপনার বিকাশ নাম্বার টা যদি দিতেন পাটাই দিতাম।আর আপনাকে কষ্ট দিলে আর আপনার কোনো হক নষ্ট করলে মাফ করে দিয়েন।

স্যার বলছে :কোন অসুবিধে নেই,টাকা লাগবেনা।

★এখন আমার কি মাফ হয়ে গেছে স্যারের সাথে টাকা সহ আরও যত হক সম্পর্কিত বিষয় আছে সব একসাথে উপরে বলছি।

৪।অন্য আরও দুইজন হিন্দু স্যারের কাছে ১০ বছর আগে  প্রাইভেট পরছিলাম।

(ক)১ম হিন্দু স্যারের কাছে দুই বার পরছি মানে দুই মাসে বেশি গেলে বিশ দিন হবে পরছি আমার যতটুকু মনে আছে,  একবার মনে হয় টাকা দিছি আবার মনে হয় দেইনি। বছর খানেক আগে তখন কার হিসাব করে ১ মাসের টাকা দিছি। আমার সাথে আর স্যারের সাথে কথা হয় নাই যে যতদিন পড়ি পুরো মাসের টাকা দিবো এখন তার হক আদায় হয়েছে কি?

(খ) ২ য় স্যার কে টাকার কথা বলছে আর বলছে টাকা লাগবেনা  উনার সাথে দেখা করতে বলছে আমি করি নি। এই স্যার আমাকে একবার পিটা দিছিল দেওয়ার সময় বে'তে ধরছি কিনা সিওর না তবে ঘার পাক দিছি চোখ বড় বড় করছি এইটা মনে আছে  একজনকে পাটাইছিলাম টাকার কথা বলতে কিন্তু পিটা দেওয়ার কাহিনি মনে ছিলো না বলিনি। এখন স্যারের কাছে মাফ চাইতে হবে কি
★এই দুইজন স্যারের সাথে আমার পরিচিত ছোট ভাই কথা বলছে। সে আমার কাছে উপরের কথা গুলো বলছে আমি যাচাই করিনি। এখন কি আবার মাফ চাইতে কি নাকি মাফ হয়ে গেছে?

৫।১২ বছর আগে খেলনা পিস্তল দিয়ে অমুসলিম দের উপাসনালয়ে মন্দিরে গুলি করি কেউ জানে কি না জানি না আমাকে কিছুই বলে নি এখন কারও কাছে মাফ চাইতে হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (598,170 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
এরকম আকীদা সঠিক। 

(০২)
আপনার গুনাহ হয়েছে।
তবে ঈমানের কোনো সমস্যা হয়নি।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ؟» . قَالُوا: الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لَا دِرْهَمَ لَهُ وَلَا مَتَاعَ. فَقَالَ: «إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَأْتِي يَوْم الْقِيَامَة بِصَلَاة وَصِيَام وَزَكَاة وَيَأْتِي وَقَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا. وَأَكَلَ مَالَ هَذَا. وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يَقْضِيَ مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرح فِي النَّار» . رَوَاهُ مُسلم

আবূ হুরায়রা (রাঃ)] হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জানো, (প্রকৃত) গরীব কে? সাহাবায়ে কিরাম বললেনঃ আমরা তো মনে করি, আমাদের মধ্যে যার টাকা-পয়সা, ধনদৌলত নেই, সে-ই গরীব। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি গরীব হবে, যে ব্যক্তি দুনিয়া থেকে সালাত, সিয়াম ও যাকাত আদায় করে আসবে; কিন্তু সাথে সাথে সেসব লোকেদেরকেও নিয়ে আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারো অপবাদ রটিয়েছে, কারো সম্পদ খেয়েছে, কাউকে হত্যা করেছে এবং কাউকে প্রহার করেছে; এমন ব্যক্তিদেরকে তার নেকীগুলো দিয়ে দেয়া হবে। অতঃপর যখন তার পুণ্য শেষ হয়ে যাবে অথচ পাওনাদারদের পাওনা তখনো বাকি, তখন পাওনাদারদের গুনাহ তথা পাপ তার ওপর ঢেলে দেয়া হবে, আর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।

(মুসলিম ৫৯-(২৫৮১), তিরমিযী ২৪১৮, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ৮৪৫, সহীহুল জামি‘ ৮৭, সহীহ আত্ তারগীব ২২২৩, শু‘আবুল ঈমান ৩৩, আহমাদ ৮০২৯, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৬৪১৯, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৪১১, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ৫৬১, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ২৭৭৮, আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১১৮৩৮।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সব মাফ হয়ে গিয়েছে।
আর কোনো সমস্যা নেই।

(০৪)
ক,প্রশ্নের বিবরণ মতে তার হক আদায় হয়েছে।

খ,  আর মাফ চাইতে হবেনা। মাফ হয়ে গিয়েছে।

(০৫)
কারও কাছে মাফ চাইতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...