আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in সাওম (Fasting) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারাম,

১. নামাজেরত ব্যক্তির সামনে দিয়ে নিজে না অতিক্রম করে কোন বস্তু অতিক্রম করানো জায়েয? যেমন মসজিদের  দান বক্স।
২.মু্ক্তাদির সামনে দিয়ে সুতরা ছাড়াই  যাওয়া যায়। প্রশ্ন হল  ইমামের  সামনে সুতরা না থাকলে মুক্তাদির সামনে দিয়ে যাওয়া যাবে?

৩.দাঁতের সামান্য রক্ত পেটে গেলে (ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়) রোজা ভাঙবে?

1 Answer

0 votes
by (65,040 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/93373/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

আলহামদুলিল্লাহ!

গরমের কারনে ঠোট ঘেমে হালকা ঘাম যদি গিলে ফেলা হয়, তাহলে এতেকরে রোজা ভঙ্গ হবে না। কেননা ঘামের পরিমাণ অতি সামান্য থাকে। তবে হ্যা যদি তা এত অধিক পরিমাণে হয় যে, তা মূখের লালার সাথে মিলিত হয়ে আধিক্যতার সাথে পাকস্থলীতে গিয়ে প্রবেশ করে, তাহলে তখন রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। ঠিক তেমনিভাবে নামাযেও কোনো সমস্যা হবে না। তবে লালার চেয়ে ঘামের আধিক্য থাকলে এবং গিলে ফেললে তখন নামাযও ফাসিদ হয়ে যাবে। যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-

وَلَوْ ابْتَلَعَ دَمًا بَيْنَ أَسْنَانِهِ لَمْ تَفْسُدْ إذَا كَانَتْ الْغَلَبَةُ لِلرِّيقِ. كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.

যদি দাতের মাড়ি থেকে রক্ত নির্গত হয়ে লালার সাথে মিলিত হয়ে যায় এবং গিলে ফলে তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত নামায ফাসিদ হবে না যতক্ষণ লালার আধিক্য থাকবে। (ফাতাওয়ায়ে হহিন্দিয়া-১/১০২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://ifatwa.info/93373/

,

ঠোট যদি শুকনা থাকে কিন্তু নোনতা লাগে ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার কারনে কথা বলার সময় নোনতা ভাব মুখে চলে যায়, তাহলেও কোনো সমস্যা হবে না।

ঠোঁটে যদি তৈলাক্ত ভাব থাকে সেটা যদি কথা বলার সময় মুখে চলে যায়, যদি গিলে ফেলা হয়, তাহলেও রোজাতে কোনো সমস্যা হবে না।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

,

১. জায়েজ, তবে এমন করা ঠিক নয়। কারণ, এর ফলে নামাজী ব্যক্তিও খুশু-খুজু নষ্ট হয়ে যায়।

২. সাধারণত ইমাম সাহেবের সামনে দেওয়াল বা কোনো কিছু থাকেই। যা সুতরার কাজ দেয়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মুক্তাদির সামনে দিয়ে (বিশেষ জরুরতে) যাওয়া যাবে।

৩. রক্তের পরিমাণ খুবই সামান্য হলে রোজা ঠিক থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/93373/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...