ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/93373/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
আলহামদুলিল্লাহ!
■ গরমের কারনে ঠোট ঘেমে হালকা ঘাম যদি গিলে ফেলা হয়, তাহলে এতেকরে
রোজা ভঙ্গ হবে না। কেননা ঘামের পরিমাণ অতি সামান্য থাকে। তবে হ্যা যদি তা এত অধিক পরিমাণে
হয় যে, তা মূখের লালার সাথে মিলিত হয়ে আধিক্যতার সাথে পাকস্থলীতে গিয়ে
প্রবেশ করে, তাহলে তখন রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। ঠিক তেমনিভাবে নামাযেও কোনো সমস্যা
হবে না। তবে লালার চেয়ে ঘামের আধিক্য থাকলে এবং গিলে ফেললে তখন নামাযও ফাসিদ হয়ে যাবে।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
وَلَوْ
ابْتَلَعَ دَمًا بَيْنَ أَسْنَانِهِ لَمْ تَفْسُدْ إذَا كَانَتْ الْغَلَبَةُ
لِلرِّيقِ. كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
যদি দাতের মাড়ি থেকে রক্ত নির্গত হয়ে লালার সাথে মিলিত হয়ে যায়
এবং গিলে ফলে তাহলে ততক্ষণ পর্যন্ত নামায ফাসিদ হবে না যতক্ষণ লালার আধিক্য থাকবে।
(ফাতাওয়ায়ে হহিন্দিয়া-১/১০২)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://ifatwa.info/93373/
,
■ ঠোট যদি শুকনা থাকে কিন্তু নোনতা লাগে ঘাম শুকিয়ে যাওয়ার কারনে
কথা বলার সময় নোনতা ভাব মুখে চলে যায়, তাহলেও কোনো সমস্যা হবে না।
■ ঠোঁটে যদি তৈলাক্ত ভাব থাকে সেটা যদি কথা বলার সময় মুখে চলে
যায়, যদি গিলে ফেলা হয়, তাহলেও রোজাতে কোনো সমস্যা হবে না।
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
,
১. জায়েজ, তবে এমন করা ঠিক নয়। কারণ, এর ফলে নামাজী ব্যক্তিও খুশু-খুজু
নষ্ট হয়ে যায়।
২. সাধারণত ইমাম সাহেবের সামনে দেওয়াল বা কোনো কিছু থাকেই। যা
সুতরার কাজ দেয়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে মুক্তাদির সামনে দিয়ে (বিশেষ জরুরতে) যাওয়া
যাবে।
৩. রক্তের পরিমাণ খুবই সামান্য হলে রোজা ঠিক থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন - https://ifatwa.info/93373/