গর্ভপাত জায়েজ হবে কি না

Question

কারো যদি বিয়ে হওয়ার বিষয়টি ছেলের বাড়ির মানুষ না জানে ও মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়া হয়নি, শুধু মেয়ের বাড়ির মানুষ জানে।এমতাবস্থায় যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ করা সত্ত্বেও গর্ভধারণ হয়,বাচ্চা হলে ছেলে মেয়ের পরিবার কর্তৃক জুলুমের শিকার হতে হবে,মামলা হওয়ার ও চান্স আছে।ছেলের আয় রোজগার অনেক অল্প হয়,বাচ্চাকে কেউ মেনে নিবে না।তখন কি গর্ভপাত করা জায়েজ হবে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং এ্যাবর্শন(গর্ভপাত) সাধারণত চার ধরণের হয়ে থাকে।যথাঃ-
(১)(চিরস্থায়ী)জন্মনিরোধ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ-এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে চিরস্থায়ীভাবে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
(২)(অস্থায়ী)জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে সন্তান জন্মানোর ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকা সত্বেও বর্তমানে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর সন্তান জন্ম নিবে না।
(৩)চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
(৪)চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।

তৃতীয় পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত নাজায়েজ ও হারাম। বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/446

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এভাবে লুকিয়ে চুরি করে বিয়ে করাকে শরীয়ত কখনো সমর্থন দেয় না, ভাল চোখে দেখে না। তবে যদি সমস্ত শর্তাদি মেনে কেউ বিয়ে করে নেয়, তাহলে তখন বিয়ের বৈধতা চলে আসবে। প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী চার মাস দশ দিন পূর্বে গর্ভপাতের রুখসত থাকলেও গর্ভপাত না করাই উচিৎ ও উত্তম হবে। প্রাথমিকভাবে হামলা মাশলাকে পাশ কাটিয়ে গর্ভপাত না করার আপ্রাণ চেষ্টা করত হবে। নিরুপায় হলেই কেবল রুখসত থাকবে।