আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
59 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
edited by
আমার ছোট ননদ আছে,বয়স ২০+, আমি জানতে চাই আমার ননদের প্রতি আমার কতটুকু দায়িত্ব, আর আমার ননদের কী কী দায়িত্ব আমার প্রতি?
আমার ননদ অনেক ভালো কিন্তু অনেক সহজ সরল।অবিবাহিত।,টেকনিক্যাল নলেজ নাই বললেই চলে।আমিও শিখাইনা।আমার শিখাইতে ভাল লাগেনা।ওরে সহ্য করতে পারিনা।কিন্তু ও ভাল।ওর ভালোর শেষ নাই।কিচ্ছু চায় না। আমি যদি মাসে ৩-৪ টা জামাও নেই তাও হিংসা করবে না বা মন খারাপও করবে না বরং সাপোর্ট করবে।ওকে বছরে ২ টা জামা দেয় ২ ইদ এ।নরমালি বানায় না।আমি বলে দিলে হয়ত ২/১ টা জামা কিনে দেয়।ওকে দিলেও না বলে না, না দিলেও হ্যা বলে না।মানে ওর কোনো কিছুতেই কিছু যায় আসেনা।কোনো এক্সপেকটেশন নাই।প্রথম প্রথম আমার কাছে সব বলতো।আমার সব কাজ করে দিত। মশারিটা পর্যন্ত খুলে দিত।এখন অনেক পরিবর্তন। আগের মতো আমাকে সব বলে না, সব কাজ করে না।যতটুকু বলি ততটুকুই করে। ওর চেঞ্জ কী সভাবিক?

আমি ওকে সহ্য করতে পারিনা এটা ও জানে না।সম্পর্ক অনেক ভাল।আগে যেমন হাসিখুশি থাকত এখন থাকে না,কেমন চিন্তায় থাকে মনে হচ্ছে। সৌন্দর্য ও নষ্ট হয়ে গেছে।

ও যা চায় ওকে সেরকম পাত্রের কাছে বিয়ে দেয় না আমার শ্বশুরেরা।এগুলো নিয়েও অনেক টেনশনে থাকে।আমি কী করতে পারি?আমার কী কোনো দায়িত্ব আছে?

আমি যে ওকে সহ্য করতে পারি না এজন্য কী আমার গুনাহ হবে?আমার ধারনা ও না থাকলে আমি আরও স্পেস পেতাম,একা থাকতে পারতাম,আমার স্বামী আমাকেই বেশি ভালবাসত,ওকে পড়ানোর খরচ দিয়ে আমি নিজের প্রয়োজন আরও ভালো ভাবে মিটাতে পারতাম।যদিও ও কখনও কোনোরকম ডিস্টার্ব করেনা।কখনই কিছু চায় না।ড্রেস ছিড়ে গেলে সেলাই করে পরে তবুও চায় না কারো কাছে।আমার এরকম থিংকিং কী ঠিক।আমার কী করনিয় কিছু আছে?আমি কী ভুল করছি?

আমরা রাজউকে থাকি ৬ নাম্বার সেক্টর। সেখানে কিছু জমি যা ব্যবহার করে না কেও।কেও রাজউকের থেকে কিনে নাই।রাজউকের জমি।বাসার সামনে একটা প্লট ফাকা।সেখানে আমার শ্বশুর সবজি চাষ করে।সে সবজি খাওয়া কী হালাল হবে?

1 Answer

0 votes
by (609,960 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَلَا كُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ، فَالْأَمِيرُ الَّذِي عَلَى النَّاسِ رَاعٍ عَلَيْهِمْ، وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ، وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ، وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ، وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلَى بَيْتِ بَعْلِهَا وَوَلَدِهِ، وَهِيَ مَسْئُولَةٌ عَنْهُمْ، وَالْعَبْدُ رَاعٍ عَلَى مَالِ سَيِّدِهِ، وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُ، فَكُلُّكُمْ رَاعٍ، وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সাবধান! তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে। জনগণের শাসক তাদের দায়িত্বশীল। তাকে তাদের সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। পরিবারের কর্তা তার পরিবারের সদস্যদের দায়িত্বশীল। তাকে তাদের সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। স্ত্রী তার স্বামীর সংসার ও সন্তানদের দায়িত্বশীল। তাকে এর রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে। ক্রীতদাস তার মনিবের সম্পদের রাখাল, তাকে এ সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং তোমরা সকলেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেককেই এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে।(আবু-দাউদ-২৯২৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি আপনার ননদকে নিজ বোনের মত মনে করবেন। নিজের জন্য যা যা পছন্দ করবেন, তার জন্য হুবহু সেটাই পছন্দ করবেন। এক্ষেত্রে কোনো কমবেশি করবেন না। এটাই ভাবি হিসেবে আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য। সে তার জায়গা খেকে হক আদায়ের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করছে, কিন্তু আপনার ঘাটতি রয়েছে।ঘাটতি পূর্ণ না করলে, দায়িত্বে অবহেলা হবে।

(২)
সরকারি জমিকে সরকারের অনুমতি ব্যতিত ব্যবহার করা যাবে না। যথাযথ অনুমোদন ব্যতিত কৃষি কাজ ইত্যাদি করা যাবে না।
لما في شرح معاني الآثار:
"عن رافع بن خديج أنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من زرع زرعا في أرض قوم بغير إذنهم فليس له من الزرع شيء ويرد عليه نفقته في ذلك." (کتاب الزارعۃ والمساقاۃ، باب من زرع فی ارض قوم بغیر اذنہم کیف حکہم فی ذلک وما روی عن رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم فی ذلک،  ج:4،  ص:117، ط:عالم الکتب)

وفي الفتاوی الشامية:
"هـ لا يجوز التصرف في مال غيره بلا إذنه ولا ولايته."(کتاب الغصب ،مطلب فیما یجوز من التصرف  بمال الغیر بدون اذن صریح،  ج:6، ص:200، ط:سعید)

وفي الفتاوی المحمودیة:
"سوال:گورنمنٹ نے چک بندی کے زمانہ میں کچھ راستے چھوڑے ان کی جوتائی وغیرہ کرکے غلہ حاصل کرنا کیسا ہے؟ اس کا کیا حکم ہے؟

الجواب حامدا ومصلیاً:جو زمین کسان کی نہیں ، نہ کوئی معاملہ اجارہ یا بٹائی کا مالک سے کیا ہو، اس کو جوتنا اور غلہ حاصل کرنا اس کے لیے جائز نہیں ، وہ گورنمنٹ کی ملک ہے تو اس کی اجازت سے درست ہے۔" (کتاب المزارعۃ، سرکاری زمین میں کھیتی کرنا، ج:17، ص:195، ط:ادارہ الفاروق کراچی)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...