আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু 'আলাইকুম,,,একজন নারী যার জন্ম আজ থেকে অনেক বছর আগে,,,সে এক সময়ে সরকারি স্কুলে চাকরি করত,,,কিন্তু সে স্কুলে পড়াকালীন স্কুলের মাস্টাররা বা কর্তৃপক্ষ বা সরকারি লোকেরা তার বয়স প্রায় ১ বছর কমিয়ে দেয়,,,যা সে ইচ্ছা করে করে নি,,সে লোকেরাই মাতব্বারি করে কাজটি করেছে,,সে সম্ভবত পরে সার্টিফিকেটে তা দেখতে পায়,, সে একসময় সরকারি চাকরি নেয় যখন তার বয়স ২৬ বছর কিন্তু সার্টিফিকেটে ২৫ বছর ছিল তখন,এবং চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ছিল ৩০ বছর,,,,তো তার চাকরির ইনকাম কি হালাল হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (599,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইচ্ছাকরে বয়স কমিয়ে লিখানো জায়েয হবে না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা।আর ধোঁকা দেয়া হারাম।যেমন হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ قال،قال رسول اللّٰه ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ( ﻣَﻦْ ﻏَﺶَّ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻣِﻨِّﻲ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি ধোকা দিবে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১০২)

তবে যদি ঘটনাক্রমে দুয়য়েক বৎসর বা দুয়েক মাস কম লিখা হয়ে যায়,এবং সেটাকে বদলানো না যায়,তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না। স্কলারশিপ নেয়ার ক্ষেত্রে যদি এই এক দুই মাস কোনো পার্থক্য সৃষ্টি করে, তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত স্কলারশিপ  গ্রহণ না করাই উত্তম। তবে দুয়েকমাস কম বেশ যদি স্কলারশিপে কোনো পার্থক্য তৈরী না করে, তাহলে তখন স্কলারশিপ গ্রহণে কোনো বাধা নেই।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https:// fatwa.info/3800


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইচ্ছাকৃত বয়স কমানো ধোকার অন্তর্ভুক্ত। তবে অনিচ্ছায় হলে তখন ধোকা হবে না। যাই হোক, ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় যদি ঐ ব্যক্তি সঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে ইনকাম হবে । 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (10 points)
শায়েখ তাহলে ইনকাম কি হবে? হালাল বা হারাম কিছুই তো লিখেন নি

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...