বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ভূমিকা
মুসলমানদের চরিত্র এমন হতে পারবে না যে,তাদের কথাবার্তায় অনর্থকতা ও অশ্লীলতা থাকবে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:لَيْسَ الْمُؤْمِنُ بِالطَّعَّانِ وَلاَ اللَّعَّانِ وَلاَ الفَاحِشِوَلاَ البَذِيءِ.
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মু'মিন কখনো দোষ বর্ণনাকারী, লা'নতকারী,অশালীন বাক্যালাপকারী এবং বেহায়া হতে পারে না।(সুনানু তিরমিযি-১৯৭৭)
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য উচিৎ সকল প্রকার মন্দ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।এবং এর ধারেকাছেও না ঘেষা।কেননা যে ব্যক্তি সীমান্তরেখা বরাবর হাটবে,তার জন্য আশংকা থাকে যে সে সীমান্তরেখা পার হয়ে বিপথগামী হবে।
কাফিরের সমালোচনা, গিবত যদি তার সৃষ্টিগত কোনো জিনিষ নিয়ে হয়,তাহলে সেটা নিষিদ্ধ। কেননা তখন সেটা আল্লাহর সৃষ্টিতত্ত্বে বিদ্রূপ করা হবে।তবে যদি তার চারিত্রিক কোনো বাজে দিক নিয়ে আলোচনা হয়,তাহলে সেটার অনুমোদন অবশ্যই রয়েছে।আরো জানুন-১৭১৫
ুযিম্মি কাফিরের গিবত নাজায়েয তবে হারবী তথা যুদ্ধগ্রস্থ কাফিরের গীবত জায়েয।
এ বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের কিছু ব্যখ্যা রয়েছে-
قال زكريا الأنصاري : " وَغِيبَةُ الْكَافِرِ مُحَرَّمَةٌ إنْ كَانَ ذِمِّيًّا ; لأَنَّ فِيهَا تَنْفِيرًا لَهُمْ عَنْ قَبُولِ الْجِزْيَةِ وَتَرْكًا لِوَفَاءِ الذِّمَّةِ وَلِقَوْلِهِ صلى الله عليه وسلم : ( مَنْ سَمَّعَ ذِمِّيًّا وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ ) رَوَاهُ ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ وَمُبَاحَةٌ إنْ كَانَ حَرْبِيًّا ; لأَنَّهُ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَأْمُرُ حَسَّانَ أَنْ يَهْجُوَ الْمُشْرِكِينَ " أ . هـ أسنى المطالب مع حاشيته ج3 ص116
وقال أحمد ابن حجر بن الهيتمي في الزواجر عن اقتراف الكبائر ج2 ص27 : " وَسُئِلَ الْغَزَالِيُّ فِي فَتَاوِيهِ عَنْ غِيبَةِ الْكَافِرِ . فَقَالَ : هِيَ فِي حَقِّ الْمُسْلِمِ مَحْذُورَةٌ لِثَلاثِ عِلَلٍ : الإِيذَاءُ وَتَنْقِيصُ خَلْقِ اللَّهِ , فَإِنَّ اللَّهَ خَالِقٌ لأَفْعَالِ الْعِبَادِ , وَتَضْيِيعُ الْوَقْتِ بِمَا لا يُعْنِي . قَالَ : وَالأُولَى تَقْتَضِي التَّحْرِيمُ , وَالثَّانِيَةُ الْكَرَاهَةُ , وَالثَّالِثَةُ خِلافُ الأَوْلَى . وَأَمَّا الذِّمِّيُّ فَكَالْمُسْلِمِ فِيمَا يَرْجِعُ إلَى الْمَنْعِ مِنْ الإِيذَاءِ , ; لأَنَّ الشَّرْعَ عَصَمَ عِرْضَهُ وَدَمَهُ وَمَالَهُ . قَالَ فِي الْخَادِمِ : وَالأُولَى هِيَ الصَّوَابُ . وَقَدْ رَوَى ابْنُ حِبَّانَ فِي صَحِيحِهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : مَنْ سَمَّعَ يَهُودِيًّا أَوْ نَصْرَانِيًّا فَلَهُ النَّارُ , وَمَعْنَى سَمَّعَهُ أَسْمَعَهُ بِمَا يُؤْذِيهِ , وَلا كَلامَ بَعْدَ هَذَا أَيْ لِظُهُورِ دَلالَتِهِ عَلَى الْحُرْمَةِ . قَالَ الْغَزَالِيُّ : وَأَمَّا الْحَرْبِيُّ فَلَيْسَ بِمُحَرَّمٍ عَلَى الأُولَى وَيُكْرَهُ عَلَى الثَّانِيَةِ وَالثَّالِثَةِ , وَأَمَّا الْمُبْتَدِعُ فَإِنْ كَفَرَ فَكَالْحَرْبِيِّ وَإِلا فَكَالْمُسْلِمِ , وَأَمَّا ذِكْرُهُ بِبِدْعَتِهِ فَلَيْسَ مَكْرُوهًا . وَقَالَ ابْنُ الْمُنْذِرِ فِي قَوْلِهِ صلى الله عليه وسلم : ذِكْرُك أَخَاك بِمَا يَكْرَهُ فِيهِ دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ مَنْ لَيْسَ أَخَاك مِنْ الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى أَوْ سَائِرِ أَهْلِ الْمِلَلِ , أَوْ مَنْ أَخْرَجَتْهُ بِدْعَةٌ ابْتَدَعَهَا إلَى غَيْرِ دِينِ الإِسْلامِ لا غِيبَةَ
لَهُ " . انْتَهَى
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কোনো যিম্মির কেউ কখনো গীবত করে ,তাহলে তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।আর হারবী কাফিরের গীবত করলে ,ক্ষমা চাইতে হবে না।