আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
50 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
১.আসসালামু আলাইকুম গীবতের ফলে যেমন ধীরে ধীরে আমল ধব্বংস হতে থাকে। কো এডুকেশনে পড়ার ফলেও কি ধীরে ধীরে আমল ধব্বংস হয়ে যাবে?

 ২.বর্তমান ভার্সিটিতে পড়াকালীন প্রেজেন্টেশনের সময় কন্ঠের পর্দা একেবারেই রক্ষা করা দুষ্কর। সেক্ষেত্রে কি করণীয়?

৩. জেনারেল লাইনের পড়াশোনার ফলে কি ধীরে ধীরে দ্বীন থেকে ছিটকে পরার কোনো সম্ভাবনা আছে?

৪. একই ক্লাসরুমে আলাদা সারিতে ছেলে মেয়েদের বসার সিট হলে কি সেখানে ক্লাস করা উচিৎ হবে?

৫. জেনারেল লাইনের পড়া যদি কোনোরকমে অনলাইনে পড়া যায়। তবে ঠিকমতো ক্লাসগুলো অনলাইনে আপলোড হয় না। অনেকদিন হয়ে যায় কবে আপলোড হবে আপাতত সেটা অনিশ্চিত। সেক্ষেত্রে ভার্সিটিতে যেয়ে ক্লাস করাটা কি উচিৎ হবে? এক্ষেত্রে করণীয় কি? কো এডুকেশন এক কথায় হারাম কোনোভাবেই বিষয়টাতে ছাড় দেয়ার ইচ্ছা নেই। কীভাবে ভার্সিটির পড়া কন্টিনিউ করবো? নাকি ভার্সিটির পড়াশোনা ছেড়ে দেয়াটা উচিত হবে? এই ফিতনার মধ্যে একবার পা বাড়ালে কি দ্বীন থেকে দূরে সরে যেতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/13774/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
দ্বীনি শিক্ষা হোক,বা দুনিয়াবি শিক্ষা হোক,ইসলামের বিধান হলো ছেলেরা ছেলেদের প্রতিষ্ঠানে এবং মেয়েরা মেয়েদের প্রতিষ্ঠানে পড়বে। বিশেষত মেয়েদের ক্ষেত্রে এর প্রতি সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা ও গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। 

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমাতে এসেছে,

 فلا يجوز للمرأة أن تَدرس أو تعمل في مكان مختلط بالرجال والنساء ، ولا يجوز لوليها أن يأذن لها بذلك

সুতরাং মেয়েদের জন্য এমন প্রতিষ্ঠানে পড়া-লেখা কিংবা চাকরি করা জায়েয হবে না যেখানে নারী-পুরুষের সহাবস্থান রয়েছে এবং অভিবাকের জন্য জায়েয হবে না তাকে এর অনুমতি দেয়া।  (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১২/১৫৬)

★ একান্ত অপারগ অবস্থায় বা বিকল্প কোন পথ না পেলে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা জায়েয আছে। কেননা, الضرورات تبيح المحظورات     জরুরত নিষিদ্ধ কাজকে সিদ্ধ করে দেয়। (আলআশবাহ ওয়াননাযাইর ১/৭৮)

তবে সবোর্চ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি, যাতে পর্দা লঙ্ঘন বা আল্লাহর অসন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম সংঘটিত না হয়।

কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَاتَّقُوا اللَّهَ مَا اسْتَطَعْتُمْ

অতএব তোমরা যথাসাধ্য আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা তাগাবুন ১৬)
,
যতদিন পর্যন্ত এই দেশে পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে উলামায়ে কেরামগন  কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেন।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।

২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।
ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১;
,
সহ শিক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
আমল ধ্বংস হয়ে যাবেনা।
তবে সহ শিক্ষার ক্ষেত্রে উপরোক্ত শর্তাবলী মেনে চলতে না পারলে ঈমানের শক্তি কমে যেতে পারে।

(০২)
মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

(০৩)
নিজের ঈমান আমল অটুট রাখতে পারলে এবং সহ শিক্ষার ক্ষেত্রে উপরোক্ত শর্তাবলী মেনে চলতে পারলে সেক্ষেত্রে আশা রাখি দ্বীন থেকে ছিটকে পরার কোনো সম্ভাবনা নেই।

(০৪)
চেহারা ঢেকে,হাতা মোজা পা মোজা পরিধান করে পূর্ণ পর্দা করে গায়রে মাহরামদের সাথে কথাবার্তা না বলা,ফিতনার আশংকা না থাকার শর্তে ও সহ শিক্ষার উপরোক্ত শর্তাবলী মেনে ক্লাশ করা যাবে।

(০৫)
সেক্ষেত্রে ভার্সিটিতে যেয়ে ক্লাস না করে বাসা থেকেই অনলাইনে পড়াশোনা করা এবং প্রয়োজনে কোনো মহিলা শিক্ষিকার নিকট প্রাইভেট পড়াই সতর্কতা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...