আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
202 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
"

স্ত্রী চায়না স্বামী বিদেশে থাকুক,বাবা-মা চায়না দেশে আসুক।

এমতাবস্থায় ছেলেটার কি করা উচিৎ?

1 Answer

0 votes
by (697,200 points)

বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-

স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর সহবাস হক সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-990

রিযিক তালাশের কথা আল্লাহ তা'আলা বলেছেন।তবে বিদেশ গিয়ে রিযিক তালাশ করতে হবে! বিষয়টা আসে এমন নয়,বরং যেখানেই সুযোগ হবে সেখানেই রিযিক তালাশ করার অাল্লাহ বলেছেন।রিযিক মানে এ নয় যে মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে হবে,বরং প্রয়োজন মত হয়ে গেলেই ব্যস।

বর্তমানে বিদেশ প্রয়োজনীয় রিযিক তালাশের জন্য যাওয়া হয় না বরং ধনী হওয়ার জন্য অনেক টাকার মালিক হওয়ার জন্য যাওয়া হয়।

শরীয়ত অনুমোদিত কোনো কাজে মা-বার আদেশ নিষেধ মান্য করা অবশ্যই সবার উপর ওয়াজিব।

তবে শরীয়ত অনুমোদিত না হলে ওয়াজিব হবে না।

কেননা নবীজী সাঃ বলেনঃ

: ( ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ( 7257 ) ﻭﻣﺴﻠﻢ ( 1840 ) ،

অবৈধ কাজে কারো বিধিনিষেধের অনুসরণ-অনুকরণ করা যাবে না।শুধুমাত্র বৈধ কাজ সমূহে অনুসরণ-অনুকরণ করা হবে।

সহীহ বুখারী-৭২৫৭

ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেনঃ

ﻭﻳﻠﺰﻡ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻃﺎﻋﺔ ﻭﺍﻟﺪﻳﻪ ﻓﻲ ﻏﻴﺮ ﺍﻟﻤﻌﺼﻴﺔ ، ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻧﺎ ﻓﺎﺳﻘﻴﻦ ... ﻭﻫﺬﺍ ﻓﻴﻤﺎ ﻓﻴﻪ ﻣﻨﻔﻌﺔ ﻟﻬﻤﺎ ، ﻭﻻ ﺿﺮﺭ ﻋﻠﻴﻪ " ﺍﻧﺘﻬﻰ

বৈধ কাজে মাতা-পিতার আদেশ মান্য করা অত্যাবশ্যকীয় যদিও তারা ফাসিক হয় না কেন?

এবং তা ঐ সমস্ত কাজে যেথায় তাদের ফায়দা হবে এবং সন্তানের কোনোপ্রকার ক্ষতি হবে না।

আল-ইখতিয়ারাত-১১৪

(বিদেশের ক্ষেত্রে মা-বাবার কিছুটা লাভ হলেও সন্তানের জন্য অনেকটা কষ্টকর কেননা  সহবাস ব্যতীত মানব জীবনযাপন কষ্টকর)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!

উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা গেল যে,প্রতি চার মাসের মধ্যে একবার স্ত্রীকে সঙ্গ দেয়া ও তার ঐকান্তিক ডাকে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক স্বামীর উপর ওয়াজিব।বিশেষ করে এই ফিতনার যামানায়।এবং এটা স্বামীর উপর স্ত্রীর অধিকার।আর স্ত্রীর উপর স্বামীর ওয়াজিব হচ্ছে চাহিবামাত্র নিজেকে স্বামীর সামনে সোপর্দকরা।তবে সন্তুষ্টচিত্তে নিজ অধিকার কেউ বিসর্জনও দিতে পারবে।

সুতরাং শরয়ী হুকুম হচ্ছে, স্ত্রীর কথা অনুযায়ী স্বামীকে দেশেই স্ত্রীর সাথে বসবাস করতে হবে।

এক্ষেত্রে মা-বাবার আদেশকে পালন করা জরুরী হবে না

আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে

মুফতী ইমদাদুল হক

ইফতা বিভাগ, Iom.

পরিচালক

ইসলামিক রিচার্স কাউন্সিল বাংলাদেশ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...