ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/33056/ নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মাসআলা জানার পূর্বের এ
সংক্রান্ত একটি মূলনীতি আমাদের মনে রাখতে হবে।
أَلْفَاظُ
الشَّرْطِ إنْ وَإِذَا وَإِذْمَا وَكُلُّ وَكُلَّمَا وَمَتَى وَمَتَى مَا فَفِي
هَذِهِ الْأَلْفَاظِ إذَا وُجِدَ الشَّرْطُ انْحَلَّتْ الْيَمِينُ وَانْتَهَتْ
لِأَنَّهَا تَقْتَضِي الْعُمُومَ وَالتَّكْرَارَ فَبِوُجُودِ الْفِعْلِ مَرَّةً
تَمَّ الشَّرْطُ وَانْحَلَّتْ الْيَمِينُ فَلَا يَتَحَقَّقُ الْحِنْثُ بَعْدَهُ
إلَّا فِي كُلَّمَا لِأَنَّهَا تُوجِبُ عُمُومَ الْأَفْعَالِ فَإِذَا كَانَ
الْجَزَاءُ الطَّلَاقَ وَالشَّرْطُ بِكَلِمَةِ كُلَّمَا يَتَكَرَّرُ الطَّلَاقُ
بِتَكْرَارِ الْحِنْثِ حَتَّى يَسْتَوْفِيَ طَلَاقَ الْمِلْكِ الَّذِي حَلَفَ
عَلَيْهِ فَإِنْ تَزَوَّجَهَا بَعْدَ زَوْجٍ آخَرَ وَتَكَرَّرَ الشَّرْطُ لَمْ
يَحْنَثْ عِنْدَنَا كَذَا فِي الْكَافِي.
ভাবার্থঃ শর্তের মাধ্যমে তালাক
প্রদাণের জন্য নিম্নোক্ত হরফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যথা-
(১) إنْ - যদি
(২) إِذَا
- যখন
(৩) إِذْمَا
- যখন
(৪) كُلُّ
- সব
(৫) كُلَّمَا
- যখনই
(৬) مَتَى - যখন
(৭) مَتَى مَا - যখন
বাক্যের প্রারম্ভে এ সকল শব্দ
প্রয়োগ করে কোনো কাজের সাথে সম্পর্কিত করে তালাক প্রদাণ করলে যখনি উক্ত শর্ত পাওয়া
যাবে, তখন তাৎক্ষণাৎ তালাক পতিত হয়ে উক্ত শর্তযুক্ত বাক্য বিনষ্ট
হয়ে যাবে। পরবর্তীতে একাজের পূনরাবৃত্তি ঘটলে আর তালাক পতিত হবে না। তবে শুধুমাত্র
৫ নং বাক্য এর বিপরিত। এটা ব্যবহার করলে যখনই শর্ত পাওয়া যাবে তখনই তালাক পতিত হতে
থাকবে। যতক্ষণ না উক্ত বিয়ে বন্ধন শেষ হচ্ছে। শরীয়া মোতাবেক দ্বিতীয়বার উক্ত
স্বামী উক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করলে তখন আর তালাক পতিত হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৫)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী বুঝে
আসছে যে, এখানে তালাকের শর্তের উদ্দেশ্য ছিলো না। বরং তখন কথা-বার্তা কম বলার বা
না বলার শুধু উদ্দেশ্য ছিলো। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তালাকের শর্ত হবে না। তাই
স্বামী পড়া-শোনার জন্য গেলেও তালাক হবে না।