আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
349 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
কুরআনুল কারীম আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার সিফাত,
তাওরাত, যাবুর,ইঞ্জিল,সহীফা ও কি আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার সিফাত না??..................   ...................................................................................................................

1 Answer

0 votes
by (567,000 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
https://www.ifatwa.info/9802/ ফতোয়াতে বলা হয়েছে যে,
কুরআনের মত তাওরাত,যবুর,ইঞ্জিল কিতাব সমূহ গায়রে মাখলুক,আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালার সিফাত। 

তবে কুরআন ব্যতীত সবকিছুই বিকৃত। মূল তওরাত,যবুর,ইঞ্জিল ইত্যাদি গায়রে মাখলুক্ব।

মাখলুক্ব হলে যে অবিকৃত থাকবে আর গায়রে মাখলুক্ব হলে যে অবিকৃত থাকবে না, বিষয়টা এমন নয়।বরং আল্লাহর ইচ্ছা হলে গায়রে মাখলুক্ব হওয়ার পরও বিকৃত হতে পারে।এগুলো মূলত আল্লাহর হুকুমের সাথে নির্দিষ্ট।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

আল কুরআন হলো একমাত্র আসমানী গ্রন্থ যা সংরক্ষিত আকারে রাখার দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা নিজ হাতে নিয়েছেন।

 ইরশাদ হয়েছে , 
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ
 ‘নিশ্চয় আমি কোরান নাজিল করেছি, আর আমিই তার হেফাযতকারী’-(সূরা আল হিজর , ৯)। 

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে ,
 وَإِنَّهُ لَكِتَابٌ عَزِيزٌ. لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌ مِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ. 

‘আর এটি নিশ্চয় এক সম্মানিত গ্রন্থ। বাতিল এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না, না সামনে থেকে, না পিছন থেকে। এটি প্রজ্ঞাময়, সপ্রশংসিতের পক্ষ থেকে নাজিলকৃত’-(সূরা ফুস্সিলাত , ৪১-৪২)। 
,
অন্যান্য আসমানী কিতাব নিয়ে আল্লাহ তায়ালা এমন কিছুই বলেননি।

আল কুরআন যেহেতু সুনির্দিষ্ট কোনো জাতির জন্য নয় বরং সমগ্র মানব সম্প্রদায়ের জন্য অবতীর্ণ একটি গ্রন্থ, তাই এটিকে বিকৃতি ও মানুষের হস্তক্ষেপ থেকে সুরক্ষিত রাখা অত্যাবশ্যক ছিল; যাতে তা কিয়ামত পর্যন্তের জন্য মানুষের ওপর আল্লাহর প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে। পক্ষান্তরে অন্যান্য কিতাবের বাণীগুলো, যে জাতির উদ্দেশে কিতাব নাজিল হয়েছিল, শুধু তাদেরকেই খেতাব করেছে, অন্যান্য জাতিকে খেতাব করেনি, যদিও দ্বীনের মৌলিক নীতি-আদর্শগুলো সব কিতাবেই ছিল অভিন্ন। তবে তাতে যে শরীয়া ও হুকুএ আহকাম নাজিল হয়েছিল, তা ছিল বিশেষ কাল ও পাত্রের জন্য সুনির্ধারিত। 

আল্লাহ তাআলা বলেন , 
أَفَتَطْمَعُونَ أَنْ يُؤْمِنُوا لَكُمْ وَقَدْ كَانَ فَرِيقٌ مِنْهُمْ يَسْمَعُونَ كَلَامَ اللَّهِ ثُمَّ يُحَرِّفُونَهُ مِنْ بَعْدِ مَا عَقَلُوهُ وَهُمْ يَعْلَمُونَ 

‘তোমরা কি এই আশা করছ যে, তারা তোমাদের প্রতি ঈমান আনবে? অথচ তাদের একটি দল ছিল যারা আল্লাহর বাণী শুনত অতঃপর তা বুঝে নেয়ার পর তা তারা বিকৃত করত, জেনে বুঝে’-(সূরা আল বাকারা , ৭৫)। 

তিনি আরও বলেন , 
مِنَ الَّذِينَ هَادُوا يُحَرِّفُونَ الْكَلِمَ عَنْ مَوَاضِعِهِ

 ইহুদিদের মধ্যে কিছু লোক আছে যারা কালামসমূহকে তার স্থান থেকে পরিবর্তন করে ফেলে’-(সুরা আন্-নিসা , ৪৬)।

 আর নাসারা সম্প্রদায় ইনজিলে যে বিকৃতি ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন ,

 وَمِنَ الَّذِينَ قَالُوا إِنَّا نَصَارَى أَخَذْنَا مِيثَاقَهُمْ فَنَسُوا حَظًّا مِمَّا ذُكِّرُوا بِهِ فَأَغْرَيْنَا بَيْنَهُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ وَسَوْفَ يُنَبِّئُهُمُ اللَّهُ بِمَا كَانُوا يَصْنَعُونَ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ قَدْ جَاءَكُمْ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمْ كَثِيرًا مِمَّا كُنْتُمْ تُخْفُونَ مِنَ الْكِتَابِ وَيَعْفُو عَنْ كَثِيرٍ قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللَّهِ نُورٌ وَكِتَابٌ مُبِينٌ 

‘আর যারা বলে ‘আমরা নাসারা’, আমি তাদের থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম। অতঃপর তাদেরকে যে উপদেশ দেয়া হয়েছিল, তারা তার একটি অংশ ভুলে গিয়েছে। ফলে আমি তাদের মধ্যে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত শক্রতা ও ঘৃণা উসকে দিয়েছি এবং তারা যা করত সে সম্পর্কে অচিরেই আল্লাহ তাদেরকে অবহিত করবেন। হে কিতাবীরা, তোমাদের নিকট আমার রাসুল এসেছে, কিতাব থেকে যা তোমরা গোপন করতে, তার অনেক কিছু তোমাদের নিকট সে প্রকাশ করছে এবং অনেক কিছু ছেড়ে দিয়েছে। অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে আলো ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে’- (সূরা আল মায়েদা , ১৪-১৫)

ইরশাদ হয়েছে-
اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ  فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا  وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤی اَشَدِّ الْعَذَابِ  وَ مَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ.

তবে কি তোমরা কিতাবের (তাওরাতের) কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? তাহলে বল, তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করে তোমাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কী হতে পারে যে, পার্থিব জীবনে তাদের জন্য থাকবে লাঞ্ছনা আর কিয়ামতের দিন তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হবে কঠিনতর আযাবের দিকে? তোমরা যা-কিছু কর আল্লাহ সে সম্পর্কে উদাসীন নন। -সূরা বাকারা (২) : ৮৫


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...