ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/90174/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
সহিহ হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ فَيُعَذبُهُ فِي جَهَنَّمَ
প্রত্যেক ছবিনির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা
হবে,
যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে।’ (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)
ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা,
প্রকাশ করা, ব্যবহার করা নিঃসন্দেহে কোরআন, হাদিস,
ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে সব ইমাম ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ ও সমকালীন
মুফতিদের মতে হারাম। তবে পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি বা এজাতীয় বিশেষ প্রয়োজনে
ফটো তোলা,
সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা,
ব্যবহার করা যায়। (ফিকহি মাকালাত; তকি উসমানী : ৪/১২৩)
বিনা প্রয়োজনে কোন প্রাণীর ছবি প্রস্তুত করার পর প্রস্তুতকারীর
জন্য যেমন তার মূল্য নেয়া নাজায়িয তেমনি ক্রয়কারীর জন্য তার মূল্য দেয়াও নাজায়িয, এজন্য স্টুডিও ইত্যাদিতে ছবি বানানোর কাজে চাকুরী করাও নাজায়িয।
তবে চিত্রকর ছবি বানাতে যে রং ইত্যাদি ব্যয় করেছে তার মূল্য দিয়ে দিবে। (শামী ১/৬৫১)
এ বিষয়ে আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটিকে জিজ্ঞাসা করা হলে
তাঁরা উত্তর দিয়েছেন,
تصوير ذوات الأرواح حرام والكسب حرام
‘প্রাণীর ছবি বানানো হারাম এবং এর উপার্জনও হারাম।’ (ফাতাওয়াল
লাজনাদ দায়িমা লিল বুহুসিল ইলমিয়্যা ওয়াল ইফতা, ফাতওয়া নং ৬৪০২)
বিস্তারিত জানুনঃ-
https://ifatwa.info/36614
হাদীস শরীফে এসেছে-
ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা
করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো
বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই। (সহীহ বুখারী- ২২২৫)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2253
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরন মতে Ai দিয়ে সম্পূর্ণ ইসলাম সমর্থিত হালাল ডিজাইন করা জায়েজ এবং এগুলো বিক্রয় করাও জায়েজ
আছে।
গাছ, সবুজ-শ্যামল দৃশ্য, নদ-নদী ইত্যাদির ছবি তৈরী ও বিক্রয়
করা যাবে। তবে কোনো মানুষ বা প্রাণীর ছবি তৈরী করা যাবে না।