বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মা বাবার ডাকে জবাব দেয়ার জন্য নামায ভঙ্গ করা সম্পর্কে মূলনীতিতে আমরা বলেছি,
ইমাম নববী রাহ বলেন,
" قَالَ الْعُلَمَاء : كَانَ الصَّوَاب فِي حَقّه إِجَابَتهَا لِأَنَّهُ كَانَ فِي صَلَاة نَفْل , وَالِاسْتِمْرَار فِيهَا تَطَوُّع لَا وَاجِب , وَإِجَابَة الْأُمّ وَبِرّهَا وَاجِب , وَعُقُوقهَا حَرَام , وَكَانَ يُمْكِنهُ أَنْ يُخَفِّف الصَّلَاة وَيُجِيبهَا ثُمَّ يَعُود لِصَلَاتِهِ ... " انتهى
উলামায়ে কেরাম বলেন,জুরাইজের উচিৎ ছিলো,মায়ের ডাকের জবাব দেয়া।কেননা উনিতো নফল সালাতে ছিলেন।নফল নামাযকে সম্পন্ন করা মুস্তাহাব।ওয়াজিব নয়।অন্যদিকে মায়ের ডাকে জবাব দেয়া এবং মায়ের সাথে সদ্ব্যবহার করা ওয়াজিব।এবং মায়ের নাফরমানি করা হারাম।উনার জন্য সম্ভব ছিলো যে,নামাযকে সংক্ষেপণ করে মায়ের ডাকে জবাব দেয়া উনার জন্য সম্ভব ছিলো।অতঃপর ফিরে গিয়ে আবার নামাযকে সমাপ্ত করবেন।(আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২০/৩৪২)
ফাতাওয়ায়ে শামী(২/৫৪)তে বর্ণিত রয়েছে,
" ولو دعاه أحد أبويه في الفرض لا يجيبه ، إلا أن يستغيث به " انتهى .أي يطلب منه الغوث والإعانة .
ফরয নামাযে মাতাপিতার কেউ ডাকলে সে ডাকের জবাব প্রদান ওয়াজিব নয়। তবে যদি মাতাপিতা সাহায্যর আবেদন করে, তখন মাতাপিতার ডাকে জবাব দেয়া যাবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মাতাপিতা ফরয নামাযে ডাক দিলে, তখন জবাব দেয়া ওয়াজিব না। কিন্তু নফল নামাযে ডাক দিলে,যদি অনুমান করা যায় যে,মাতাপিতা অসন্তুষ্ট হবেন না, তাহলে জবাব না দেয়াই উত্তম। কিন্তু যদি অনুমান করা হয় যে,মাতাপিতা নারাজ হবেন,তাহলে এমতাবস্থায় জবাব দেয়াই উচিৎ।হ্যা অবশ্যই পরবর্তীতে উক্ত নামাযকে সম্পন্ন করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো কাফফারা আসবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1855
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি বাসায় আপনি ব্যতিত অন্য কেউ না থাকে, এবং তখন যদি বৃদ্ধ বাবা কিংবা মা বাসায় আসেন, অন্যদিকে আপনি তখন ফরয নামাজে থাকেন, তাহলে আপনি অতিদ্রুত নামাযকে সম্পন্ন করবেন, তারপর দরজা খুলে দিবেন। হ্যা, নফল নামাযে হলেও সাধারণত নামায সম্পন্ন করে তবেই খুলে দিবেন।তবে যদি মনে হয়, যে তাদের ভীষণ কষ্ট হচ্ছে,বা তারা নারাজ হবেন, তাহলে তখন নামাযকে ভঙ্গ করে দরজা খুলে দেওয়াই উচিৎ